রাশেদ ইসলাম, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার, কুজাইল নয়াপাড়া, মহল্লার বাসিন্দা আজিজার রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি খাড়া/ছোট নদীর পাড় কেটে খাড়া/ ছোট নদীর পানির গতিবেগে বাধা প্রদান করে ফসলি জমি বের করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১ জুলাই ওই এলাকার জনগণ সাংবাদিক দের কাছে বিষয় টি অবগত করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত আজিজার খাড়া / ছোট নদী পাড় কেটে ধানি জমি বের করা সহ অবশিষ্ট মাটি খাড়া/ ছোট নদীতে ফেলে দিয়েছেন। এলাকাবাসী সুত্রে যানা গেছে, অভিযুক্ত আজিজার রহমান গত কয়েক বছর আগে উক্ত ছোট নদীর ধারে জমি ক্রয় করেছেন। যা বর্তমান সময়ে পাড় কেটে নদীর পানির গতিবেগে বাধা প্রদান করেছেন। এ বিষয় নিয়ে উক্ত গ্রামের মৃত, হাসন মন্ডল এর ছেলে আলতাব, মন্ডল, বলেন, আজিজার যেটা করেছে সেটা চরম অপরাধ। কারন সরকার উক্ত ছোট নদীর জমি কোথাও ৪৫ ফিট, কোথাও ৪০ ফিট ও প্রায় যাইগাই ৩৫ ফিট জমি অধিগ্রহণ করেছেন। এটা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য, এ ছাড়া প্রতি বছর সরকার ছোট নদী সংস্কারের জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। এখানে আজিজার এর জমিতে খাড়া/ ছোট নদী নেই, সে কেন এমন কাজ করেছে।
এ বিষয়ে নয়াপাড়া গ্রামের
মৃত, অছির মন্ডল এর ছেলে ছাইদুল, মৃত্যু, সফিরুদ্দিন এর ছেলে স্বাধীন,ছাত্তার মন্ডল এর ছেলে রব্বানী মন্ডল, মোফাজ্জল এর স্ত্রী
রওসন আরা, গোলাম মস্তফার ছেলে সাকলাইন, আব্দুস ছোবহান এর ছেলে বাবু মন্ডল, মৃত্যু, খালেক মন্ডল এর ছেলে শাকিল মন্ডল, তারা বলেন, আজিজার যে কাজ করেছে সেটি এলাকার কৃষক দের সমস্যা তৈরি করার জন্য। আজ কয়েকদিন হয়ে গেছে, তাকে বার বার বলা হয়েছে ছোট নদী থেকে মাটি উঠিয়ে আগের মত করে দিতে কিন্তু তিনি আমাদের কোন কথা গায়ে নিচ্ছেন না। যদি এটা তার অপরাধ না হয় তাহলে আমরাও আমাদের জমির সামনে খাড়া/ ছোট নদীর মাটি কেটে জমি তৈরি সহ ছোট নদী ভরাট করব।
এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত আজিজার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সরাসরি সাংবাদিক দের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে তার বাড়িতে যেতে বলেন। তবে সাংবাদিকরা আজিজার এর বাড়িতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এ বিষয় নিয়ে আজিজার এর স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ছলের বাপ কেবল কোমাটে গেল। কথা শেষ না হতে আজিজার এর স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করেন আজিজার এর ছেলে সুমন। তিনি উক্ত কলে সাংবাদিক দের সঙ্গে কথা বলেন, এ সময় তিনি বলেন, আমরা এত বড় কোন অপরাধ করিনি। আর আপনাদের এত সাহস কে দিয়েছে আমার বাড়িতে আমার বাবাকে খোজ করার। এমন সময় নাম বলতে অনিচ্ছুক আজিজার এর ছেলে সুমনেন ভায়া/ ভগ্নিপতি সাংবাদিক দের সঙ্গে মুঠোফোনে অসালিন ভাষায় কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনারা কে? কেন গেছেন গ্রামে? বিষয় টি আমি দেখব আমার আত্বিয় উকিল, আমার সাথে হুইপ স্বপন এর ভালো সম্পর্ক, যা কিছু কথা আমরা সরাসরি হুইপ কে বলে সমাধান করব। তবে আজিজার এর বাড়ি ক্ষেতলাল উপজেলার মধ্যে আর গ্রাম বাসির কথা মতে, খাড়া/ ছোট নদীটি কিছু জমি ক্ষেতলাল আর কিছু জমি কালাই উপজেলার মধ্যে পড়ার কারনে ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে বিস্তারিত জানান। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠাবো। এদিকে কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপস্থিত হবার কারনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) (অ.দা.) আবিদা সিফাত জয়পুরহাট কে সহ ক্ষেতলাল সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুন আরা whatsapp এ সকল তথ্য গত ১ জুলাই পাঠানো হয়ছে। তবে আইনগত কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা এখনো যানা যায়নি। এলাকাবাসী অতি তারাতাড়ি বিষয় টি দেখার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি কে জোর দাবি জানান।