হারুন অর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে কলাপাতায় মোড়ানো বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে গরু মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী রনি আক্তার ও তার স্বামী মুনছুর রহমানের বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিসাধন করে আসছে একই গ্রামের মোঃ আঃ মান্নান। সালিশ/বৈঠকের মাধ্যমে বারবার সতর্ক করা হলেও আঃ মান্নান রনি আক্তার ও মুনছুরের ক্ষতিসাধন থেকে নিজেকে বিরত রাখেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের দিকে রনি আক্তার ও মুনছুরের গোয়ালঘরে কলাপাতায় মোড়ানো বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে তাদের পালিত একমাত্র গরুটিকে হত্যা করে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় এই কাজে আঃ মান্নানকে সহযোগিতা পরে পার্শ্ববর্তী জামুড়া গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন। বেলাল হোসেন বাসুড়া বাজারে অবস্থিত রেজোয়ানের দোকান থেকে ২টি গ্যাস ট্যাবলেট কিনে আঃ মান্নানকে সরবরাহ করে বলে জানা যায় ভুক্তভোগী রনি আক্তার। রনি আক্তারের কাছে জানতে চাইলে গ্যাস ট্যাবলেট কেনার ব্যাপারে সত্যতার প্রমাণ স্বরূপ বলেন তিনি, তার স্বামী, চাচাসহ রেজোয়ানের দোকানে গেলে রেজোয়ান বেলাল হোসেন গ্যাস ট্যাবলেট কিনেছে বলে জানায়। ভুক্তভোগী রনি আক্তার জানান ঘটনার রাতে আঃ মান্নানকে আনুমানিক রাত ১০:০০ ঘটিকার সময় হতে দুইবার এই রাস্তা দিয়ে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রনি আক্তারের একজন প্রতিবেশী মহিলা জানান রাতে রনি আক্তারের গোয়াল ঘরের রাস্তায় আঃ মান্নানকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছে। মহিলাকে দেখে আঃ মান্নান অন্য রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রনি আক্তারের গোয়ালঘরটি রাস্তা সংলগ্ন ও অনেক নিচু আর টিনের ছাপড়া পাড়ানো। টিনের ফাঁকগুলো খড় দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া। রাস্তার ওপাশে টিনের ফাঁক বন্ধ করা খড় সরানো। কলাপাতায় পলিথিনে মোড়ানো বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট যা গরু চিবিয়ে ফেলে দিয়েছে। কলাপাতায় মোড়ানো ট্যাবলেট বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য ফিরুজ নামের ব্যক্তি শুষতে গেলে তিনিও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হোন বলে জানা যায়।

জানা যায় রনি আক্তার ও তার স্বামীর সাথে আঃ মান্নানের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। কোন কারণে তাদের মধ্য বনিবনা না হলে রনি আক্তার ও মুনছুরের সাথে আঃ মান্নানের দূরত্ব তৈরি হয়। আঃ মান্নান বিভিন্নভাবে রনি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। রনি আক্তার, আঃ মান্নানের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালে আঃ মান্নান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি করে বলে জানা যায়।