1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
জলদস্যুরা জাহাজে ঢুকে পড়েছে আর মনে হয় কথা হবে না - Bikal barta
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| মঙ্গলবার| রাত ১২:৩৪|
সংবাদ শিরোনামঃ
জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুমিনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সমছু দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত!  আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট চালু। পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত,, ধামইরহাটে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও বাগেরহাটের রামপালে কথিত ডেভিল হান্টের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার । দোকানের টাকা চাইলেন দিনে, রাতে অন্ধকারে খেলেন মাইর  নীলফামারীর ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দখলের মহা উৎসব চলেছে ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫

জলদস্যুরা জাহাজে ঢুকে পড়েছে আর মনে হয় কথা হবে না

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৪, ২০২৪,
  • 136 জন দেখেছেন

দ্বীপক চন্দ্র সরকার: ‘জলদস্যরা আমাদের জাহাজে ঢুকে পড়েছে, আমার জন্য দোয় করো। আর মনে হয় কথা হবে না’ এসব কথা স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে বলেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া মোঃ রোকন উদ্দিন নামে বাংলাদেশি একজন ইঞ্জিনিয়ার। তারপর ফোনের সংযোগ কেটে দেন আর কোন কথা বলতে পারেননি।
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। কেএসআরএম কোম্পানির এই জাহাজে রোকন উদ্দিনসহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছেন। রোকন উদ্দিন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তিনি নেত্রকোণার সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরুয়া গ্রামের মোঃ মিরাজ আলীর ছেলে। রোকন উদ্দিনের জন্ম ১৯৯১ সালে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তৃতীয় রোকন । মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষে ২০১৫ সালে জাহাজে চাকরি নেন তিনি। ২০২৩ সালের ২০ মার্চ ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করেন তিনি। নভেম্বরে ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদেন রোকন। তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে জিম্মি হওয়ার খবর প্রচারের পর রোকন উদ্দিনের বাড়িতে মাতম শুরু হয়। বিকেলে স্ত্রী তানিয়া আক্তারের সাথে শুধুমাত্র একবার মোবাইলফোনে কথা বলতে পেরেছেন রোকন। এ সময় তিনি ফোনে স্ত্রীকে বলেন— ‘জলদস্যুরা জাহাজে ঢুকে পড়েছে, আমার জন্য দোয়া করো, আর মনে হয় কথা হবে না’। এসব কথা বলার পর সংযোগ কেটে যায়। এদিকে ছেলের জন্য কেঁদে কেঁদে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা লুৎফুন্নাহার। সেই সাথে স্ত্রী তানিয়া আক্তারও স্বামীর প্রাণ শঙ্কায় জ্ঞান হারাচ্ছেন। রোকন উদ্দিনের বড় বোন শাহমিনা আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে রোকন তার স্ত্রী তানিয়াকে মোবাইলে কল করে জানায়—‘জলদস্যুরা জাহাজে ঢুকে পড়েছে, আমার জন্য দোয়া করো, আর মনে হয় কথা হবে না’। এসব কথা বলার পর সংযোগ কেটে যায়। সন্ধ্যার পর তানিয়া আমাদের এসব কথা জানিয়েছে। খবর শোনার পর আমাদের বাড়িতে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। রাতেও রোকনের ফোন চালু ছিল। আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কল হচ্ছিল কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। এরপর থেকে আর কোন খবর পাচ্ছি না। রোকনের জিম্মি হওয়ার খবরে চিন্তায়—শঙ্কায় আমাদের পরিবারের সবার অবস্থা খুব খারাপ। বাড়িতে খাওয়া দাওয়া বন্ধ। রোকন সুস্থ্যভাবে ফিরে আসুক এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি। রোকন উদ্দিনের বড় ভাই সাইদুর রহমানের স্ত্রী পপি আক্তার বলেন, রোকন জলদস্যুদের কবলে পড়েছে এ কথা শোনার পর তার মা লুৎফন্নাহার বারবার কেঁদে জ্ঞান হারাচ্ছেন। এদিকে স্ত্রী তানিয়ারও একই অবস্থা। বাড়িতে কান্নাকাটি, কারো খাওয়া দাওয়া ঘুম কিছুই নেই। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। রোকনসহ সকল জিম্মিদের সুস্থ ও জীবিত উদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!