1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগ হাফ ম্যারাথনে দেশি-বিদেশি ৩৯৮ দৌঁড়বিদ - Bikal barta
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| মঙ্গলবার| রাত ৪:২০|
সংবাদ শিরোনামঃ
জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুমিনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সমছু দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত!  আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট চালু। পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত,, ধামইরহাটে আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ইউএনও বাগেরহাটের রামপালে কথিত ডেভিল হান্টের অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতার । দোকানের টাকা চাইলেন দিনে, রাতে অন্ধকারে খেলেন মাইর  নীলফামারীর ঢেলাপীর হাটের সরকারি জমি দখলের মহা উৎসব চলেছে ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫

জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগ হাফ ম্যারাথনে দেশি-বিদেশি ৩৯৮ দৌঁড়বিদ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪,
  • 89 জন দেখেছেন

আবু বক্কর সিদ্দিক কক্সবাজার। সমুদ্র ও পাহাড়ের মাঝেই অনিন্দ্য সৌন্দর্য্যের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের অবস্থান। আর সেই সড়কেই শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই ছুটতে শুরু করেন দেশি বিদেশি ৩৯৮ জন দৌঁড়বিদ। যারা একদিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন, অন্যদিকে পাহাড়ী সবুজের হাতছানির প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের পরিবেশে বিরামহীন ছুটে গেছে ২১ ‍কিলোমিটার সড়ক। যে সড়কটি অতিক্রম করতে গিয়ে কারও দেহে দেখা মিলেনি ক্লান্তির ছাপ।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রান ফর হিরোজস্ অফ আওয়ার ভিক্টোরি’ প্রতিপাদ্যে ‘বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন-২০২৪’ প্রতিযোগিতার অংশ ছিল এটি। শনিবার ভোরে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগরের ভাঙারমুখ থেকে শুরু হয় এই ‘হাফ ম্যারাথন’। ইতিটানা হয় ২১ কিলোমিটার দূরত্বের পর উখিয়ার ইনানীতে গিয়ে। জাতীয় জীবনের মহান বীরদের স্মরণ করার পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন এবং কক্সবাজারের পর্যটনকে বিকশিত করতেই নেয়া এই প্রতিযোগিতায়অংশ নেয়া ৩৯৮ প্রতিযোগীর মধ্যে ১১ জন বিদেশি দৌঁড়বিদও অংশগ্রহণ নেন। যাদের কেউ কেউ পেশাগত কাজে কক্সবাজারে কর্মরত থাকলেও অনেকেই এসেছেন বিদেশ থেকেই।প্রতিযোগিতার জন্য ২১ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সেবাবুথ, ওয়াটার স্টেশন বা হাইড্রেশন কর্ণার এবং ম্যারাথন শেষে অ্যাপায়নের ব্যবস্থা রাখা ছিলো। এছাড়াও পর্যাপ্ত সড়ক নিরাপত্তা, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, মেডিকেল ক্যাম্প ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যবস্থা রাখা হয়। হাফ ম্যারাথনে কাট অফ টাইম (ফিনিশিং টাইম) ধরা হয় ৪ ঘন্টা। ৩৯৮ জনের মধ্যে দৌড় শেষ করেছেন ২৪৮ জন। এতে পুরুষ বিভাগে ইমরান হাসান এবং নারী বিভাগে মেজর শাওলিন সিগমা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পুরুষ ক্যাটাগরিতে সেরা দশ জনের মধ্যে ছিল আমেরিকান জেমেনি আর নারীদের মধ্যে আমেরিকান জানেলি। শেষে অনুষ্ঠিত হয় ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারি প্রতিযোগীদের অর্থ পুরষ্কার, সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র বিতরণ।অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম বলেন, শুধুমাত্র এই একটা ম্যারাথন সম্পন্ন করেই শেষ করছি তা না। যখন আবহাওয়া এমন মনোরম থাকবে তখন এ পরিবেশে সামনের দিনগুলোতে হয় তো সাইক্লেল রেইসিংয়ের একটা চিন্তাভাবনা করছি। একই সঙ্গে আরও একটা ম্যারাথনের আয়োজন করার চিন্তা করছি। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই এ অঞ্চলের সেনাবাহিনী এধরণের যে কোন ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে এবং সম্পৃক্ত থেকে গর্ববোধ করবে।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথনের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো। প্রথমত, আমাদের মহান বিজয় দিবসে আমাদের স্বাধীনতার যে চেতনা সেটি সমুন্নত রাখা। একই সাথে আমাদের আগামী দিনের যে নতুন বাংলাদেশ সেটিকে গড়ে তুলবার যে প্রয়াস সেটিকে সমুন্নত রাখা এবং চেতনাকে ধারণ করবার। আমাদের তারুণ্যের যে শক্তি, তারুণ্যের উজ্জীবন এটিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের আগামী দিনে দেশ গড়ার কাজে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসকে অনুপ্রাণিত করা। একই সঙ্গে কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করা। আমরা আগামী দিনে পর্যটন, কক্সবাজার এবং এই কক্সবাজারের যে আরো অপরূপ সৌন্দর্যের লীলা সেগুলোকে ধারণ করে আমরা আমাদের পর্যটনকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে চাই।ম্যারাথনে অংশ নেয়া আমেরিকান দম্পত্তি স্যাম ও জানেলি বলেন, “সুন্দর দেশ সুন্দর রাস্তা, সাগর আর পাহাড়ের মাঝখানে দৌঁড়াতে বেশি ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের মানুষ খুবই বন্ধু সুলভ, পৃথিবীর এক নাম্বার বলা যাবে।পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইমরান হাসান বলেন, বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই আয়োজন কে সাধুবাদ জানায়। এধরণের আয়োজন যে প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলাগুলোতে হয়। কারণ তরুণরা মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে এবং খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ বাড়ে।নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন মেজর শাওলিন সিগমা বলেন, ম্যারাথনের জন্য মেরিন ড্রাইভ বাংলাদেশে সবচাইতে উপযুক্ত জায়গা। যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগের সাথে স্বাচ্ছন্দে দৌঁড়ানো যায়।ঢাকা থেকে আগত প্রতিযোগি রেহেনা আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে অংশ নিতে কক্সবাজার এসেছি। ভালো লাগছে এতগুলো মানুষের সঙ্গে দৌঁড়াতে। সুন্দর পরিবেশ, সমুদ্রের সামনে দৌড়াচ্ছি এর থেকে মজার কিছুই হতে পারে না।আরেক প্রতিযোগি প্রিয়া বলেন, অসাধারণ অনুভূতি। প্রথমবারের মতো মেরিন ড্রাইভে হাফ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছি। এটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!