জহুরুল ইসলাম, বিষেশ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসি খামারে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে ধান কাটা ও মারাইয়ের উৎসব। হাসি লেগে আছে কৃষকের চোখে মুখে। ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আউশ ধান থেকে উন্নত বীজ তৃণমূল কৃষকদের দেয়ার কথা জানিয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ। নীলফামারীর ডোমার বিএডিসি খামারের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আউশের ক্ষেত। যেদিকে চোখ চায় শুধু সোনালী ধানের দোল খাওয়ার দৃশ্য। প্রকৃতি যেন সেজেছে হলুদ রঙে। আউশ ধানের মাঠ দেখে খুশি খামারের কৃষকরা। ইতোমধ্যে কিছু জমির ধান কাটা ও মারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ২৫৫ একর জমির খামারটিতে আগে শুধু আলু চাষাবাদ করা হতো। আলু উঠানোর পর কয়েক মাস জমিগুলো পতিত থাকতো। এখন উন্নত প্রযুক্তি ও ভালো মানের বীজ ব্যবহার করে আউশ ধান আবাদ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ খুবই কমে যাচ্ছে। যা হতাশা জনক। তাই মাটিতে জৈব পদার্থ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত মজুমদার। আবাদি জমির সদ্ববহার এবং এক ফসলি জমিকে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা। চলতি মৌসুমে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩২ মেট্রিক টন। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ধানের উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছেন খামার কর্তৃপক্ষ।