আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর তীরে বালুতে পুঁতে শিশু সাকিবুল ইসলাম (৭) এর হত্যার ঘটনায় ২৩ দিন পর পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো- মোদেরগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফ (৪৫), তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৪০) ও তার ছেলে মোশাররফ হোসেন খোকা (২১), একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৮) ও আব্দুল লতিফের ছেলে মোশাহিদ আহমেদ (১৯)।
শিশু সাকিবুল ইসলাম এই গ্রামের কৃষক হারুন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। গত ১৮ এপ্রিল গ্রামের পাশের জাদুকাটা নদীর তীরে বালু চাপা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এর দুই দিন পর হারুন মিয়া বাদী হয়ে আসামিদের নাম উল্লেখ না করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার (ওসি) মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন বলেন, শিশু সাকিবুলের হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৭ এপ্রিল বুধবার শিশু সাকিবুল তার মাকে স্কুলে যাবে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত ছেলে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার পিতা-মাতা সহ স্বজনরা রাত থেকে অনেক খুঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে সন্তানের খোঁজে হারানোর বিষয়টি মাইকিং করে জানান। এদিন সকাল আটটার দিকে লোকমুখে শুনতে পারে যাদুকাটা নদীর তীরে মাটির নিচে পুতেঁ রাখা একটি শিশুর হাত-পা দেখা গেছে। এমন খবর পেয়ে সাকিবুলের পরিবার সেখানে যায়। এমন সময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাকিবুলের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।