,,,,,,আলমগীর হোসেন স্টাফ রিপোর্টার,,,,,
দারিদ্র্যের দেয়াল ভেঙে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের শাপলা খাতুন। নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তির মেধা তালিকায় ৪৮৫১তম হয়েছেন তিনি। শাপলার এই কৃতিত্বে গর্বিত তার দরিদ্র পরিবার ও পুরো গ্রাম।
অটো রিকশা চালক বাবা মো. শফিকুল ইসলাম ও গৃহিণী মায়ের তিন কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় শাপলা। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে গেছেন।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০২৪ সালে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন শাপলা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউতে ৭৪ নম্বরসহ মোট স্কোর ১৭৪ পেয়ে জায়গা করে নেন সরকারি মেডিকেল কলেজে।
নিজের সফলতা প্রসঙ্গে শাপলা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করেছি। মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি খুবই আনন্দিত এবং সবার কাছে দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতে মানুষের সেবা করতে পারি।’
শাপলার এ সাফল্যের পেছনে তার বাবা-মা, পরিবারের সদস্য এবং শিক্ষকদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ছিল। প্রত্যন্ত গ্রামের একজন মেয়ে হয়েও তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই স্বপ্নপূরণে বাধা হতে পারে না।
শাপলার এই সাফল্যে গ্রামে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে।
শাপলার বাবা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার জন্য আমরা গর্বিত।’ শাপলার এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, বরং পুরো গ্রামের গর্ব। এখন তার লক্ষ্য ডাক্তার হয়ে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।