,,,,,,,স্টাফ রিপোর্টার,,,,,,
ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায়
সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপি নেতা মনোয়ারুল ইসলাম (৫৫)।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়ার বাজার সংলগ্ন সুলভ মালিথার বাড়ির সামনের সড়কে এ সংঘর্ষ হয়ে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম প্রামাণিকের ছেলে ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকের বড় ভাই ও দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিকের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দাশুড়িয়া গোলচত্ত্বরে অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা আদায় করতে থাকেন। এসময় চাঁদা তুলতে বাঁধা দেয় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে যুবদল নেতা বিপুল মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। রকু প্রামাণিকের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে দুদিন ধরে দাশুড়িয়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
রোববার ঘটনার মীমাংসার জন্য শালিস বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে রকু প্রামাণিকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে মনোয়ারুল ইসলামসহ তিন চারজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় পেটে গুলিবিদ্ধ হন মনোয়ারুল। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল মোল্লার সমর্থক বলে জানা যায়।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা জানান, রকু ও রিপন প্রমাণিকরা অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করেছিলেন। আমরা এতে বাধা দেওয়ায় শুক্রবার রাতে আমাদের মারধর করে। আজ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলামকে গুলি করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলভ মালিথা জানান, মনোয়ারুল ইসলামের ওপর রকু-রিপনসহ তাদের সঙ্গে থাকা ২০-২৫ জন অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা মনোয়ারুলের পেটে গুলি করে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে অনুরোধ জানাবো। অভিযুক্ত উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন ও শ্রমিক দল নেতা রকুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।