আব্দুস শহীদ শাকির
জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি।
জকিগঞ্জের বিরশ্রী ইউনিয়নের সুপ্রাকান্দি মহল্লাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আজ বিকাল ৩ঘটিকায় পীরে কামেল আল্লামা শায়েখ আব্দুল গফফার রায়পুরী দামাত বারাকাতুহুম এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা
আবুল হাসান সাহেবের
পরিচালনায় শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের জনপ্রিয় বক্তা মুফতি আবুল হাসান সাহেব। সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহমুদুর রহমান (বড় হুজুর) আরো উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া লামারগ্রাম মাদ্রাসার সফল শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুস সাত্তার,বিরশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সাত্তার, সুপ্রাকান্দি গ্রামের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুর রহিম,ঈদগাহ বাজার হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব ইমাম উদ্দিন স্যার,ঈদগাহ বাজারের বিশিষ্ট আলেম হাফিজ সিরাজ উদ্দিন,
মাদারখাল গ্রামের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা কুতুব উদ্দিন, জামিয়া ইসলামিয়া লামারগ্রামের সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুস কাইয়ুম আমেরিকা প্রবাসী জনাব জাকির আহমদসহ এলাকার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
প্রধন অতিথি বক্তব্যে মুফতি আবুল হাসান বলেন,আজ জকিগঞ্জের সুপ্রাকান্দি এলাকাবাসী একটি ইতিহাস রচনা করলেন,৫৬ বছরের ইমামকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়ে। বৃহত্তর সিলেটে এমন দীর্ঘ ৫৬ বছর ইমামতি করার ও সংবর্ধনা দেয়ার ইতিহাস আমার জানা নেই, আগামীতে এমন ইতিহাস কেউ রচনা কলতে পারবেন কিনা আমি জানিনা। মহল্লা বাসী অনেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, তারা বিদায় শব্দটি উচ্চারণ করতে নারাজ।
সংবর্ধিত অতিথি মাওলানা মাহমুদুর রহমান (বড় হুজুর) বলেন, আমি ৩০ বছর থেকে ইমামতি শুরু করি।আজ আমার বয়স ৮৬বছর এত দীর্ঘ সময় ইমামতি করা আমার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না, মহল্লাবাসী আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার যখন যা প্রয়োজন তা পূরণ করেছে,তারা এখনো আমাকে বিদায় দিতে রাজী নয় বার্ধক্য আমাকে বিদায় নিতে বাধ্য করেছে!
বিদায়কালে ইমামকে নগদ দেড় লক্ষ টাকাসহ পায়জামা,পান্জাবী,টুপি,আতর,জায়নামাজসহ আরো অনেক মুল্যবান জিনিসপত্র হাদিযা হিসাবে দেয়া হয়। ইমামকে গাড়ি সাজিয়ে, নতুন বরের মতো মিছিল দিয়ে বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।
এমন নজির বিহীন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইমামকে সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় দেয়ায় মানুষের মুখে মুখে প্রশংসা শোনা যাচ্ছে,মানুষের মধ্যে আজকের আলোচনাই ছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।