আরিফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামে গাছ কাটা ও গোরস্থানের টাকা আত্মসাৎকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। মাদিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বাবুল আখতার-এর বড় মেয়ে তানিয়া খাতুন গতকাল শুক্রবার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্য জানান, আমার মা মারা যাওয়ার পরে ওয়ারিশ সূত্রে, আমার মায়ের সম্পত্তির মালিকানা আমরা বোনেরা বুঝে পাই এবং সেই সম্পত্তি জোর করে ভোগ দখলসহ জমিতে থাকা গাছপালা জোর করে কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে আমার চাচা ক্বারি সরকারসহ তার ছেলে জোগনুর জামান সুইট সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭-০৩-২০২৪ ইং তারিখ সকাল ৮:৩০ মিনিটে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় তারা আমাদের গাছ কাটিয়া নিতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি নিষেধ করিতে গেলে ক্বারি সরকারের হুকুমে জোগনুর জামান সুইট সরকারের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার উপরে কোপ
মারিতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে প্রতিরোধ করলে আমার হাতে কোপ লাগিয়া মর্মান্তিকভাবে জখম হয়ে আহত হই। আমার ছোট বোন ও মেয়েকে এই হামলায় ওতপ্রোতভাবে অংশগ্রহণকারী সুইট সরকারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, অজিফা সরকারসহ গুলজার হোসেন লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আমার বাবা-মাসহ ফুফাতো ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরে আমার ফুফাতো ভাইয়ের সহযোগিতায় দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং আমার হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এর আগেও পারিবারিক গোরস্থানের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎকে কেন্দ্র করেও একই ব্যক্তিরা এধরণের হামলার ঘটনা ঘটায়। এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন সম্মেলনে সঠিক বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এ সময় সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকসহ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।