জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী নীলফামারীর সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চারালকাটা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের আবাদি জমি। মাটিবাহী ড্রাম ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। হুমকিতে নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কও। এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি-জামায়াতের নামে ওই বালু বিক্রির চক্রের কাছে চাঁদা আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে চাঁদা নেওয়া দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নদীর বালু বিক্রি বন্ধ করে সেতুর সংযোগ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বিএনপির কর্মী আবু হানিফ বলেন, আসলে কে বা কারা আমাদের দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করে তার দায়ভার দল কখনো নিবে না। আর যাদের নামে অভিযোগ এসেছে তারা আমাদের দলের কেউ না। তারা যদি বিএনপি দাবি করে খারাপ কাজ করে এর দায়ভার বিএনপি নিবে না। আমাদের জেলা ও উপজেলা কমিটি আছে তাদের সাথে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জামায়াতের কচুকাটা ইউনিয়নের সেক্রেটারী মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে অবৈধ বালু নিয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের বাজিতপাড়া ঘাটেরপাড়ের ব্রীজের মোকাম ভেঙ্গে গেছে। এজন্য আমরা এলাকাবাসী রাস্তা ও ব্রীজ রক্ষার জন্য আমরা দাড়িয়েছি। তারা আমাকেসহ অনেককে বিভিন্নভাবে হুমকী ধুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে এর জন্য বিচার চাই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারী উদার ইসলাম বলেন, ঘাটের পাড় এলাকায় এরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। যার কারনে এই জায়গাটা ভেঙ্গে গেছে ও বাকী অংশ কয়েকদিনের মধ্যে পুরোটায় ভেঙ্গে যাবে। এখানে যাদের নাম আসছে তারা সুবিধাবাদী দলের লোক। আমরা ইতোমধ্যে ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। আমরা চাই এটা অতি দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ করা। অভিযুক্ত লিমন ইসলাম বলেন, কিছু নামধারী জামাতি ও বিএনপির নেতা যারা এখন মাথা চাড়া দিয়ে চাঁদা দাবি করতেছে। যারা জামাতি করে নাই তারা মামলার ভয়ে এতোদিন পালিয়ে ছিল। আমি শৈশব থেকে বিএনপি করি। নীলফামারীর এমন কোন লিডার নেই, যা আমাকে চিনে না। আগে কলেজের সিনিয়র আহ্বাবায়ক ছিলাম। পৌর আহ্বাবায়ক ছিলাম। যেহেতু ১৭ বছর থেকে দল ক্ষমতায় নেই তাই ব্যবসা মনোযোগ দিয়েছি। আমি ঘাটপাড়া থেকে বালু কিনছি সেখানে অনেক বিএনপির পরিচয় দিয়ে টাকা চায়। আমি বলছি আমি বিএনপি করি আপনাদের কেন টাকা দিবো। এ নিয়ে তাদের সাথে আমার বাক বিতন্ডা হয়েছে। আমি আর ওখান থেকে বালু নিব না। জামাতে ইউনিয়ন আমির আব্দুল হাই বলেন, লিমন ছেলেটি আগে দল করত। বর্তমানে দল থেকে বহিস্কিত আছে। আমাদের এ বিষয়ে আগামীকাল বসা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো দেখা হবে।