জেলা প্রতিনিধি: (দ্বীপক চন্দ্র সরকার): নেত্রকোণা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের বসার স্থান নির্ধারনের দাবীতে মনববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় নেত্রকোণা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোণা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের বসার স্থান নির্ধারনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন নেত্রকোণা পুরাতন জজ কোর্ট ভবনের পাশে খালি জায়গায় নেত্রকোণা দলিল লেখক সমিতি নেত্রকোণার নেতৃবৃন্দ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা খরচে নির্মানাধীন টিনসেড ঘরটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি নেত্রকোণা জেলা শাখার দলিল লেখকদের বসার স্থান নির্ধারনের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নেত্রকোণা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে তিনদিন যাবৎ কর্মবিরতি পর আজ পুনরায় মানববন্দন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষনা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু আরো বলেন, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে নেত্রকোণা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কর্মরত আছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমরা সরকারকে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করে থাকি কিন্তু অদ্যাবিধি দলিল লেখকদের বা দলিল করতে আসা সুবিধাভোগীদের বসার কোন ব্যবস্থা তো দূরের কথা জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থায়ী কোন কার্যালয় নাই, নেত্রকোণা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় পরিচালিত হয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তাদের অনুমতিক্রমে বর্তমান জেলা সাব রেজিস্ট্রি অস্থায়ী অফিসের পাশে বসার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি টিনসেড ঘর তৈরী করা অবস্থায় গত ০৯ মে সকালে জেলা জজ কোর্ট প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ঘরটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। আমরা এ যাবৎ ঝড় তুফান, কাদা-মাটি উপেক্ষা করে কাজ করে আসছি, এখন আর সম্ভব নয়। তাই আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছি ও করে যাব। তারা আরো জানান, আমাদের ঘরটি ভেঙ্গে ফেললেও পাশে থাকা ক্যান্টিন ও অফিসের পিছনেই পরিত্যক্ত ভবনে লোকজনকে অপসারণ করা হয় নাই কেন এ প্রশ্নও তারা রাখেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন আশ্বাস বা নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনদিন আমাদের কর্মবিরতি শেষে প্রশাসনিক কোন উদ্যোগ বা আশ্বাস এখনও দেওয়ানি বিধায় পুনরায় আমরা মানববন্দন করছি ও অনির্দিষ্টিকালের জন্য কর্মবিরতী ঘোষনা করছি। এ সময় সহ সভাপতি খালেকুজ্জামান তাং, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মামুন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তপন কান্তি নাগ সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।