ইমরান সরকার স্টাফ রিপোর্টারঃ- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় রোগবালাই ও পোকা- মাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল সুরক্ষায় এই “অতন্দ্র জরিপ” পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
“অতন্দ্র জরিপ” বলতে, ফসলের নির্বাচিত ক্ষেতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পর্যবেক্ষন করে বালাইয়ের আক্রমন ও ক্ষতি সম্পর্কিত তথ্যাদি নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করা এবং সে সব তথ্যাদির ওপর ভিত্তি করে বালাই-দমন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও পূর্বাভাস প্রদান ।
অতন্দ্র জরিপের ফলে মাঠে কি ধরনের সমস্যা রয়েছে- তা নির্ধারণ পূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অতন্দ্র জরিপ পদ্ধতিতে ফসলের রোগবালাই ও পোকা মাকড়, পানির অবস্থা, আবহাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫ টি ব্লকে এ “অতন্দ্র জরিপ” পরিচালনা হচ্ছে।
সপ্তাহে ১ দিন করে সপ্তাহ ব্যাপী বিভিন্ন ব্লকে “অতন্দ্র জরিপ” পরিচালনা করা হয়।
জরিপকৃত অতন্দ্র জরিপের প্লটের আয়তন হতে হয়, ৫০ শতক। মাঠের আয়তন ২০ হেক্টর। নির্ধারিত প্লটের ৪, ৭, ১০, ১৪, ১৯ নম্বর গুছিতে কুশির সংখ্যা ও পাতার সংখ্যা গননা করা হয়।
এই পদ্ধতিতে প্রতি ৫০ শতক জমিতে কোনাকোনি ভাবে ধান ফসলের ২০টি করে গোছা নির্বাচন করা হয়। প্রতি গোছায় ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা সংখ্যা এবং রোগের আক্রমণ আছে কি না তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।
পলাশবাড়ী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা আকন্দ বলেন, অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগেই সতর্ক হতে পারেন চাষীরা। সেই সাথে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে। ফলে দিন দিন এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকরাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ ফাতেমা কাওসার মিশু বলেন, অতন্দ্র জরিপ নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। রোগ-বালাই থেকে ফসল রক্ষায় অতন্দ্র জরিপ খুবই কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে। ফসলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগেই অতন্দ্র জরিপের মাধ্যমে সতর্ক হতে পারবেন চাষীরা। সেই সাথে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করাও সম্ভব হবে। অতন্দ্র জরিপ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলার সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও মহদিপুর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গী ব্লকের কৃষকবিন্দু।