স্টাফ রিপোর্টার>
সিলেটের কানাইঘাটে বির্তকিত নারায়ন নামক এক কনস্টেবলকে প্রত্যহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কানাইঘাটে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। আজ শনিবার কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের লোভাছড়া নদীর পারে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীকালে তাঁকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সিলেট জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন তাঁকে ‘প্রাশাসিক’ কারণে কানাইঘাট থেকে প্রত্যাহার করে শনিবার রাতেই সিলেট জেলা পুুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, আটক পুলিশকে স্থানীয় জনতা প্রথমে ‘ভুয়া পুলিশ’ সদস্য মনে করলেও পরে ওই ব্যক্তি কানাইঘাট থানার কনস্টেবল পদে কাজ করছেন বলে নিশ্চিত হন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় একদল লোক নদীর পাড় থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগে পুলিশ জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এসময় তাঁর দুই পকেট থেকে কয়েকবারে বেশ কিছু টাকা বের করেছেন তাঁরা। প্রতি নৌকায় কত টাকা করে নেওয়া হয়েছে, এমনটি জানতে চাওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে। একপর্যায়ে প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে আনা হয়। এ সময় কনস্টেবল নারায়ণের মানিব্যাগ থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত দুটি ছবি পাওয়া যায়।
এদিকে আটকের পর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে পুলিশ সদস্য নারায়ণকে কানাইঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়ালের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) স¤্রাট তালুকদার জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কনস্টেবল নায়ারণকে প্রাশসিক কারণে কানাইঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করে সিলেট পুলিশলাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।