স্টাফ রিপোর্টার: খুলনার প্রানকেন্দ্রে ইকবাল নগর ৩৬, আয়েশা কটেজে খুলনা আর্ট একাডেমি অবস্থিত। এটি একটি শিল্প সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস পরিচালনা করেন। সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটির পরিচালক ফোনের মাধ্যমে জানতে চায় খুলনা আর্ট একাডেমির শিশু শিল্পীরা আছে কিনা। তখন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস জানায় আগামী ১৭ ই মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে নবীন দের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ চলছে এমন সময় তিনি দুইজন গুণীজন কে নিয়ে আসেন শিশুদের ক্লাস পরিদর্শন করার জন্য । তাদের আগমনের সুখবরটি ক্লাসরুমে প্রকাশ করলে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরাও আনন্দিত আমাদের প্রতিষ্ঠানে গুণীজনরা আসবেন। এ তো আমাদের সৌভাগ্য বলতে না বলতে একাডেমিতে প্রবেশ করলেন জামাল উদ্দিন স্যার সহ দুইজন অতিথি। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সবার উপস্থিতিতে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান এবং শিশু শিল্পীদের উদ্দেশ্যে ও ছবি আঁকার সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য মিলন বিশ্বাস অনুরোধ জানায়। প্রফেসর মোঃ জামাল হোসেন সাবেক ট্রেজারার,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন খান অধ্যক্ষ মীরখালী স্কুল এন্ড কলেজ মঠ বাড়িয়া পিরোজপুর। এ. এইচ এম জামাল উদ্দীন পরিচালক বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি ,কমলেষ বালা সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ব্রজলাল কলেজ খুলনা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা আর্ট একাডেমির সংগীত শিক্ষক সঞ্জয় সাহা, প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক এস এম শাহিদুল ইসলাম সহ আরো অন্যান্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রমুখ।উপস্থিত অতিথি এবং সম্মানিত অভিভাবকরা খুলনা আর্ট একাডেমি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেন। এসময় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস পুনরায় সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানায় এবং সকলের কাছে সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটির পরিচালক জামাল উদ্দিন স্যার। শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে উত্তর দিয়ে প্রশংসা অর্জন করেন। তিনজন পুরস্কারে ভূষিত হন এবং এসময় প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিল্পী আমাদের সকলের প্রিয় নাজেরা আমরিন টিয়ানা মামনি নিজের হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে সকল অতিথিদের উপহার দিলেন।সবাই অত্যন্ত খুশি হয়। তখন অতিথিরা শিশুদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।এতে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছুই শিক্ষা অর্জন করতে পারবে এমনটা প্রকাশ করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস। তখন অভিভাবকরা তার সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাবার পর থেকে যে শিক্ষা পেয়েছে সেই সম্পর্কে প্রশংসা অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এতে অতিথিরা আরো খুশি হয়েছেন। সর্বশেষ সকলকে শুভকামনা জানিয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নেন। তখন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস স্যারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পুনরায় সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানান।