মো:শরিফুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ:
আজ (১৮ ই ) মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২ঃ১০ মিনিটে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন হলো যমুনা রেল সেতু। টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এর আগে সকাল ১১.০০টায় রেল স্টেশন চত্বরে বেলুন ও পায়ড়া উড়িয়ে সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রণালয়ের সচিব জ্বনাব মো:ফাহিমুল ইসলাম, এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক জ্বনাব মোঃ আফজাল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি,জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি,টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক ও পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সেতুটির নির্মাণ বৈশিষ্ট্য :
৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল ট্র্যাক, ডুয়েলগ্রেজ, ৫০ টি পিলার এবং ৪৯ টি স্প্যান,১০০ বছর স্থায়িত্বের আধুনিক ইস্পাত দ্বারা নির্মিত, ৮৮ টি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা, ৩৮ টি ট্রেনের ধীরগতির ভোগান্তির অবসান, সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত যাহা দেশের উত্তর-পশ্চিমা- অঞ্চল ঢাকা অন্যান্য অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
রেল যোগাযোগে বিপ্লব :
এর আগে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালিয়ে সফলতা নিশ্চিত করা হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, যমুনা রেল সেতু চালুর ফলে আগের তুলনায় ট্রেন চলাচলের সময় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে আসবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ হ্রাস পাবে।
সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ও অর্থায়ন :
সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ১৬৭৮০.৯৬ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)ঋণ: ৭২.৪%শতাংশ, সরকারি অর্থায়ন ২৭.৬%শতাংশ ।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান :
জাপানের ওটিজি ও আইএইচআই।
নতুন ভাড়া কাঠামো:
সেতুটি ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের পন্টেস চার্জ দিতে হবে। যা পদ্মা সেতুর মতো ৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সেতুটির উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রেল খাতে নতুন যুগের সূচনা হলো যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরবে বেগবান গতিশীল করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।