জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা
আমিনুল ইসলাম মানিক স্টাফ রিপোর্টার বাহুবল হবিগঞ্জ:
বাহুবল উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহানাজ আক্তারের গাফিলতির কারণে এনআইডি করতে আসা মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। নতুন এনআইডি এন্ট্রি করার পর মাসের পর মাস অপেক্ষা করার পরও কার্ড না পেয়ে ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার যুবক যুবতীরা চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। নির্বাচন অফিসে ধর্ণা দিয়েও অনলাইন সিস্টেমে কার্ড আসার খবর নেই। বর্তমান নির্বাচন অফিসার শাহানাজ আক্তার বাহুবল অফিসে যোগদানের পর থেকেই মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন হন। অথচ গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমানের তত্বাবধানে বিশেষ ব্যবস্থায় নতুন আবেদনকারীদের ছবি ও ফিঙ্গার নেয়া হয় এবং ৩/৪ দিনের মধ্যেই অনলাইন সিস্টেমে কার্ড চলে আসে। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারির আগে যারা নির্বাচন অফিসে ছবি ও ফিঙ্গার দিয়েছেন তাদের অনলাইন সিস্টেমে এখনো কার্ড আসেনি। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, বর্তমান নির্বাচন অফিসার শাহানাজ আক্তারের গাফিলতির কারণে কোন কাজ করা হচ্ছে না। ফলে ছাত্রছাত্রীসহ শতশত ছেলে মেয়েরা এনআইডি কার্ডের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। বিষয়টি জানতে ১৮ মার্চ নির্বাচন অফিসে গেলে অফিসার শাহানাজ আক্তার অফিসে পাওয়া যায়নি। পরে তার সরকারি মোবাইল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে জেলা নির্বাচন অফিসারের সরকারি মোবাইল নম্মরে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদকে বলেন-বাহুবল উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহনাজ আক্তার বাচ্চার অসুস্থতার কারণে দুদিনের ছুটিতে আছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ ১৮ মার্চ অফিসার অফিস করার কথা, কিন্তু তিনি আসেননি। এমনকি তিনি বৈধ ছুটিও নেননি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- ১১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ব্যবস্থায় আপিল সংক্রান্ত পন্থায় আবেদনকারীদের ছবি ও ফিঙ্গার এন্ট্রি করা হয় এবং ৩ দিনের মধ্যেই কার্ড চলে আসে। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারির আগে যারা ছবি ও ফিঙ্গার দিয়েছেন তাদের কার্ড কেন এখনও আসেনি তা খোজ নিয়ে দেখব।
ভোগান্তির শিকার বিলাল নামে এক যুবক বিদেশ যাওয়ার জন্য এনআইডি করেছেন। কিন্তু দেড় মাস হচ্ছে কার্ড আসেনি। অফিসারের গাফিলতিকে তিনি দায়ী করেন। এরকম অভিযোগ অসংখ্য এনআইডি প্রত্যাশীদের।