স্টাফ রিপোর্টার,সাইফুজ্জামান সুমনঃ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়, তখন থেকে রাজধানীর শাহাবাগ, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, জিগাতলা এসকল স্থানের শিক্ষার্থীদের সাথে হাফিজুল ইসলাম (হাফিজ) আন্দোলনে সক্রিয় হয়, যিনি বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার সহকারী মুখপাত্র। যতদুর জানা যায় জুলাইয়ের প্রথম থেকে তার ফেসবুক আইডিতে আন্দোলনের ছবি, ভিডিও পোষ্ট করার কারণে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আচ্ছিলো, কিন্তু তিনি আন্দোলন থেকে পিছপা হয় নি, কারণ তিনি অধিকার আদায়ের লক্ষে অটুট থেকে আন্দোলন চালিয়ে যান। তিনি ১লা আগষ্টে আন্দোলনের একটি ছবি পোষ্ট দিয়ে লিখেন, সাহসিকতা আয়ু কমায় না, আর কাপুরুষিকতা আয়ু বাড়ায় না, সুতরাং ভয়কে জয় করেই সফলতা ছিনিয়ে আনতে হয়। এভাবে তিনি সাহসিকতার সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ৪ই আগস্ট বিকাল তিনটার পরে জিগাতলায় আওয়ামীলীগ আর পুলিশের যৌথ আক্রমণের মুখে পড়ে একসময় একটি ব্যাংকের নিচে কেচি গেটের মধ্যে আটকা পড়েন, কিন্তু সেখানেও তারা আক্রমণের শিকার হন, তাদের উপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে কিন্তু ওখান থেকে বের হতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপরে কয়েকজন লোক তাকে ধরে ওই ভবনের সাদের উপরে তুলে নিয়ে সুস্থতার জন্য সেবা করে। পরে একটু সুস্থ সাভাবিক হলে রাতে রিক্সায় করে তার বাসায় পৌঁছে দেন। তারপরে চূড়ান্ত ঘোষণা ৫ই আগষ্টের দিন ১দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি আবার ছুটে যান শাহবাগে, সেখান থেকে বিকাল ৩ টার পরে যখন সেনা প্রধান ঘোষণা দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তখন তারা বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবন ও সংসদ ভবনে যান। এক কথায় তিনি জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের একজন গর্বিত ছাত্র সৈনিক ছিলেন।