স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইস্ট লন্ডনের ব্যাকটন এলাকায় বসবাসরত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সেলিব্রিটি সেফ আজম খান প্রায় ২০ বছর ধরে ব্রিটেনে এই শখের বাগানের পাশাপাশি দেশে ও বিভিন্ন ধরনের সবজি করেছেন এবং তার সাথে নতুন করে যোগ করেছেন মৎস্য চাষ।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের দড়ি খুঞ্চনপুর গ্রামের মৃত হাজী মফিজ খানের ছেলে আজম খান ৪০ বছর ধরে ব্রিটেনে শেফ হিসেবে পরিচিত।
তিনির ব্রিটেনের বাসার পেছনে লাউয়ের বাগান রয়েছে। আজম খান তার শখের বাগানে সহ-ধর্মিনী সুলতানা চৌধুরীর সহ-যোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। আজম খান ব্রিটেনে শখের বাগানের পাশাপাশি নিজ বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের সবজি বাগান করেছেন। তিনি বলেন আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তাই আমার গ্রামের বাড়িতে পাঁচটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করি।
মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী আজম খান পুকুর গুলো সেচ করে মাছ ধরেন এবং এই মাসগুলো এলাকার লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বন্টন করার পাশাপাশি বাড়িতে খাবারের আয়োজন করেন।
ব্রিটেনে পুরস্কারপ্রাপ্ত সেফ আজম খান তার স্ত্রী সুলতানা চৌধুরী, মেয়ে শারমিন খানকে সাথে নিয়ে তার সুখের বাগানে থাকা লাউ, সিম, করলা, বেগুন, টমেটো, লেবুর বাগান ঘুরে দেখেন।
এসময় আব্দুল কাদের মেহেরুন্নেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামীম মিয়া, ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান তালুকদার, ইয়াওর মিয়া, সুন্দর আলী, টিটু চৌধুরী, পিনু চৌধুরী, নিয়ামুল হক, গয়াস মিয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক আজম খান শখের বাগান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের মাঝে বন্টন করার অতিথি পরায়ন আজম সুলতানা দম্পতির শখ।
আজম খান জানান, আমি লন্ডনে যাওয়ার পর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে ৪০ বছর কাজ করায় আন্তর্জাতিকভাবে সেফ এর স্বীকৃতি পাই। আমি লন্ডনে শখের একটা বাগান অনুষ্ঠান করেছি। পরে ব্যাপক সাড়া পাইছি। শখের বাগানে লাউ, কদু, সিম ফালাইছি। আমি আমার গ্রামের বাড়িতে আসছি পুকুর নিয়ে একটি ফিসারি তৈরি করেছি। তাছাড়া এখানে লেবু সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল আছে। আমি মাছ চাষে আকৃষ্ট হওয়ার কারণ আমরা মাছে ভাতে বাঙালি, আমরা হলাম ভাটি বাংলার মানুষ। মাছের উপর আমাদের একটি আকর্ষণ। মাছটা আমরা খুব পছন্দ করি। এর জন্য আমি মাছ চাষ করেছি।
আলহামদুলিল্লাহ আজকে প্রচুর রুই, মৃগেল কার্পো, বোয়াল মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পেয়েছি। আজকে আমরা বন্ধু আত্মীয়-স্বজন এসেছেন তাদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে যে মাছগুলো থাকবে সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বন্টন করে দেব।
সুলতানা আক্তার চৌধুরী বলেন ১৬ বছর পরে দেশে এসেছি। লন্ডনে আমাদের একটি শখের বাগান রয়েছে। আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে দেশীয় একটি শখের বাগানের পরিকল্পনা নেই। আশা করি আমরা আজ সফল হয়েছি। ফিশারি আমরা করেছি তাতে অনেক জাতের মাছ বোয়াল, রুই, পাবদা সহ বিভিন্ন জাতের মাছ রয়েছে। মাছ এবং সবজি দিয়ে আমরা খাবারের আয়োজন করেছি। প্রবাসী যারা আছেন আপনারা আমাদের মত দেশে এসে ফিশারি এবং শাকসবজির বাগান করার অনুরোধ করছি।