মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ভাঙ্গায় এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা, চাচা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গোডাউন বালিয়া মধ্যে পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত ওই ছাত্রীর বাবা গফফার মিয়া (৫৫), চাচা ছত্তার মিয়া (৬০) ও ফুফাতো ভাই তাইমুর মাতুব্বর (১৯)কে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের এস এস সি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী (১৭) কে গত সপ্তাহ খানেক আগে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী সিয়াম মোল্লা (১৯), রিফাত মোল্লা (২০), সাকিব মোল্লা (২২) ইভটিজিং করে। বিষয়টি ওই স্কুল ছাত্রী বাড়ি এসে বাবা-মাকে জানায়। ওই ছাত্রীর বাবা – চাচা বিষয়টি ওই বখাটেদের অভিভাবকদের জানায়। এতে ওই বখাটেরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে।
স্কুল ছাত্রীর ছোটো চাচা আবু সাঈদ মিয়া বলেন, সিয়াম, রিফাত, সাকিব আমার ভাতিজিকে ইভটিজিং করে। বিষয়টি ওদের অভিভাবকদের জানাই। সর্বশেষ গত রবিবার (৩০ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে এসে ওরা আতশবাজি ফোটায়। ৩/৪টি আতশবাজি বাড়ির ভিতরে নিক্ষেপ করে। এ সময় আমরা বাধা দেই। একপর্যায়ে ওরা চলে যায়। আমরা বিষয়টি পুনরায় ওদের অভিভাবকদের জানাই। এরপর সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ওই তিন বখাটে সহ ১০-১২ জন এসে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমার দুই ভাই ও বেড়াতে আসা এক ভাগ্নেকে ঘরে ভিতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমাদের বাড়ির ৩ টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র ৩ জনকে কুপিয়ে জখম ও বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত পরিবারের সদস্যদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেছি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ হোসেন এবিষয় তিনি জানান,একটি মেয়ে বিষয় নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।অভিযোগ পেলে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।