মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি।
ভাঙ্গার হোগলাডাঙ্গী সদরদি গ্রামে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণসহ হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তার রেখা আক্তার খুনের বিষয়ে নিয়ে ফরিদপুর প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।প্রেসব্রিফিং এ অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ভাঙ্গা সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহানশাহ উপস্থিত ছিলেন ।প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার জানান, ভাঙ্গা উপজেলায় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গি সদরদি এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এবং ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড সংগঠিত মুল আসামি হওয়ার ২৪ ঘন্টার পর ভাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুনিকে আটক করে। রোববার (৩০ জুন) সকালে নিশ্চিত করে পুলিশ।ধর্ষককারী একই গ্রামের রেখার চাচাতো ভাই়। কিশোরী সরল শোজার সেই সুযোগটি নিয়েছেন শাহাদাত।খুনের একই গ্রামের বাড়ির ও পাশাপাশি ঘরের চাচাতো ভাই শাহ জামাল ওরফে (শাহাদাত) (১৬)। এবং
মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে (শাহজালাল ওরফে) (শাহাদাত) কে শনাক্ত করে গত ২৯ জুন সন্ধ্যায় ভাঙ্গার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের অভিযুক্তের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায় যে, ভিকটিম তার সম্পর্কে চাচাত বোন হয়। গত ২৮ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেখা তাদের বাড়ির উত্তর পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় রেখাকে মোবাইল ফোনে পর্ণো ছবি দেখানোর লোভ দেখিয়ে পুকুর পাড়ের পাশের আলমগীর মোল্লার পাটক্ষেতে নিয়ে অভিযুক্ত (শাহজালাল ওরফে (শাহাদাত ১৬)ভিকটিমের সালোয়ার খুলে তাকে ধর্ষণ করে।ধর্ষণ শেষে রেখার ঘটনাটি তার মায়ের ও বাবা কাছে এ বিষয় বলতে চায়লে তোখনই শাহাদাত তাকে মেরে ফেলার ফন্দি করে। মেয়েটির সালোয়ার কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ি ফিরে যায়।বাড়িতে গিয়ে (শাহাদাত) তার বাবা টুকু মাতুব্বরকে কাছে বিষয়টি খুলে বলেন।
তারই বাবা টুকু মাতুব্বর নাটক সাজিয়ে রেখার আক্তার মরদেহ পাট ক্ষেতে দেখে প্রথম গ্রামবাসীকে ও পুলিশকে তিনি খবর দেন।
ভাঙ্গা থানা অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস আই) খালিদ মাহমুদ জানান,খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ বিকেল ৫টায় দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেখার মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা করা হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে খুনির রহস্য উদঘাটন ও আলামত পাওয়া গেছে। ছেলেটি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক শাহাদাত জবানবন্দী দিয়েছে।
ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, মেয়েটি সরল সোজা হওয়ার কারণে সহজেই তাকে তার চাচাতো ভাই মোবাইল দেখানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা পর হত্যা করে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে খুনের রহস্য উদঘাটন ও আলামত পাওয়া গেছে। ছেলেটি আদালতে ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত শাহজালাল ওরফে (শাহাদাত) (১৬) কে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত স্বেচ্ছায় আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।