সিলেট থেকে বিকাল বার্তা প্রতিবেদক >> সিলেটের দক্ষিণ মেজরটিলা এলাকার নাথ পাড়ায় ভৈরব মান্ডপের ভিতরে সভাপতির নেমপ্লেট ও বাসার টিকানা ব্যবহার নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায় কয়েক বছর পূর্বে সনাতন ধর্মালম্বী রতন মনি মোহন্ত নামের এক ব্যক্তি
দেশবাসী ও সনাতনী বিভিন্ন মানুযের কাছ থেকে রড, সিমেন্ট, টাইলস, বিভিন্ন সামগ্রী ও নগদ টাকা অনুদান সংগ্রহ করে ও নিজে কিছু টাকা খরচ করে ভৈরব মন্দির প্রতিস্টা করা হয়েছে। এরপর অতিগোপনে ২০০৬ ইং সালে অর্থ্যাৎ ১৮ বছর আগে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন, যাহা নাথপাড়া বাসী আদৌ জানেন না। রতন মনি সেই পকেট কমিটির সভাপতি দাবী করেন, এবং নিজের ব্যক্তিগত ৫০ লাখ টাকা খরচ করে উন্নয়ন করেছেন বলে দাবী করেন।
স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ভৈরব মন্দির প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জমিতে প্রতিষ্টিত হয়েছে, কিন্তু সভাপতি তাহার ক্ষমতার দাপটে মান্ডপের ভিতরে নিজের নেমপ্লেট ও আত্নীয় স্বজনের নাম অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা আরো বলেন সভাপতি
উনার ডয়িংরুম মনে করে সার্বজনীন কাল ভৈরব মন্ডপের ভিতরে উনার নাম ও বাসার ঠিকানা উল্লেখ করেন, নেম প্লেট লাগান যা হাস্যকর ও দুঃখজনক। আমরা নাথপাড়াবাসী
এই ভুয়া সভাপতির দ্রুত পদত্যাগ দাবী করছি।
বিষয়টি নিয়ে নাথপাড়া ভৈরব মন্দিরের সভাপতি রতন মনি মোহন্ত’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি ২০০৬ ইং সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এই মন্দির নির্মান করতে গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, এর মধ্যে ৪৯ লক্ষ টাকা আমার নিজের এবং বাকী ১ লক্ষ টাকা বিভিন্ন লোকজন থেকে অনুদান নিয়েছি। নেমপ্লেটের কারনে যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের কিছু নেই। তারা এই এলাকায় সনাতনীরা নতুন বাড়ী বানাতে আসলে ২০/৩০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে। জমি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন জমিদার প্রথা বাতিল হওয়ার পর ১৯৫৬ ইং সালে শ্রী শ্রী কাল ভৈরব মন্দিরের নামে
২৮ শতক জমি রেকর্ড হয়। সেই মন্দিরের নিজস্ব জমিতে খরচ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়। নেমপ্লেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি স্মৃতি রক্ষায় দুটি প্লেট লাগিয়েছি। একটি রতন মনি মোহন্ত নামে এবং অপরটি এলাকার যারা স্বর্গীয় হয়েছেন তাদের নামে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান নামের বিরোধিতা করার
কারনে আমাদের উপর তাহার আক্রোশ বেড়ে গেছে, যেকোন সময় হামলা, মামলায় জড়ানোর গোপন মিশনে লিপ্ত রয়েছেন।