“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার মামলা নং-১২, তারিখ: ১২ জুলাই ২০১২, ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) টেবিল ০৩(খ) ধারায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আসাদুজ্জামান বাপ্পি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জুন ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১৬৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আসাদুজ্জামান বাপ্পি (৩৫), পিতা-শফিকুর রহমান মাষ্টার, সাং-কাটাবিল, চকবাজার, থানা-কোতোয়ালি, জেলা-কুমিল্লা’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০,০০০ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে গত ০৪ জুলাই ২০১২ইং তারিখে ৫৪০ বোতল ফেন্সিডিল সহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে বের হয়ে আত্নগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে সে দীর্ঘ ১২ বছর কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে আসছিল মর্মে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।