জহুরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় থানা ও কোর্টে মামলা করায় বাদী ও ভিকটিমসহ পরিবারের সকলকে হুমকি দিয়েছে বিবাদী।
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম এর কন্যা ছাতনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মেঘলা আক্তার কে মধ্য ছাত্ররাই গ্রামের নুর আলম বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে প্রায় রাস্তায় আটক করে প্রেমের প্রস্তাব ও বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি, কুরুচিপূর্ণ আচরণ করিয়া উত্ত্যক্ত করতো। মেঘলা তার প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে মেঘলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিবে বা অপহরণ ইজ্জতের ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। ঘটনার তারিখ ২৬/০৮/২৩ ইং তারিখ বিকাল ৩ ঘটিকার সময় বাড়ি থেকে ঠাকুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিশোর কিশোরী ক্লাবে ক্লাস করার জন্য যাওয়ার পথে ঠাকুরগঞ্জ আশা এনজিও অফিস সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় পৌঁছা মাত্র পূর্ব আক্রোশের জের ধরে মেঘলাকে একাকী পেয়ে তার নাক মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জাপটাইয়া ধরিয়া মাটিতে ফেলাইয়া ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেঘলা আক্তার চিৎকার করলে তাইজুল ইসলাম ও এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে মেঘলাকে উদ্ধার করে। পরে সংবাদ পেয়ে মেঘলার পিতা ওবাইদুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। বিবাদীপক্ষ ঘটনা নিষ্পত্তির জন্য টাকার প্রলোভন দেয়। এতে রাজি না হলে বিবাদীপক্ষ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ওবাইদুল ও তার কন্যাকে শাসা শাসী করে এক পর্যায়ে তারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলা সহ নানা হুমকি প্রদর্শন করে। এরফলে মেঘলা আক্তার ভয়ে এক মাস স্কুলে যেতে পারেনি। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এসে তাকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বললে বর্তমানে সে ভয় নিয়ে অটোরিকশা বা ভ্যানে যাওয়া আসা করছে। ঘটনার ব্যাপারে ওবাইদুল ডিমলা থানায় একটি এজাহার করে পরে থানা কর্তৃপক্ষ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে গত ১০/০৯/২৩ইং তারিখে কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলা করার পর বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনী, ভিকটিম ও তার পরিবারের সকলকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে বাদীনী এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে।