আব্দুস শহীদ শাকির জকিগঞ্জ সিলেট থেকে
মৌসুম শেষ হতেই জকিগঞ্জে অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। এতে হতাশার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেতারা। ভরা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আলুর দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষেতেই আলু বিক্রি করেছেন। এছাড়াও মৌসুম জুড়ে শীতের প্রভাব বেশি থাকায় লেট ব্লাইট রোগে আক্রান্ত হয়েছিল আলুর ক্ষেত। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন কম। এ কারণে আলুর হিমাগারে গতবারের তুলনায় কমেছে আলুর মজুদ। মৌসুম শেষ হতেই লাফ দিয়েই বাড়ছে আলুর দাম।
সিলেট শহরের কালীঘাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে। উপজেলা ও গ্রামগঞ্জের হাট বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫/৬০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি ছোট কাটিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
উৎপাদন ও মজুদ কমে যাওয়ায় সিলেটের সকল বাজারে আলুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
বাজারে আলুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় মৌসুম শেষ না হতেই আলুর বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সময় থাকতে আলু আমদানির পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে আলুর বাজার।
জকিগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উজ্জ্বল আহমদ বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ তরকারি হিসেবে আলুকেই বেশি প্রাধান্য দেই। কিন্তু সেই আলুই যদি ৬০ টাকা ধরে আমাদের ক্রয় করতে হয় তবে মৌসুম শেষ হলে আলুর দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আল্লাহ পাক ভালো জানেন। আমরা চাই যেভাবেই হোক সরকার যেন আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করে।
জকিগঞ্জ বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বেশি দামে আলু কিনলে বেশি দামে বিক্রি করেন। আর কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করতে হয় তাদের। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।