স্টাপ রিপোর্টারঃ-
মোঃ ফয়সাল উদ্দিন (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের যুবক আবুল কাশেম (৩৫) হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহাতীত ভাবে স্ত্রী-শ্বশুরসহ সবর্মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাব তাদেরকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহত কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস, শ্যালক জহির উদ্দিন, জেঠাস আকলিমা বেগম, স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব তাদের গ্রেফতার করেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, হত্যার ঘটনাটির কোন তথ্য প্রমাণ ছিল না। ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার তাহমিনা পলাতক ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাব ৫ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তাদেরকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত কাশেম কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের আবু ছায়েদ মোল্লার ছেলে ও পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। প্রায় ৩ মাস আগে চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের তাছলিমাকে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজবাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর রাত ১০ টার দিকে স্ত্রী তাছলিমা তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাননি। মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন সকাল সোয়া ৭ টার দিকে শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে কাশেমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাছলিমার বাবা আক্কাস মোবাইলফোনে বিষয়টি কাশেমের বাবাকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক-মুখে রক্ত লেগে ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছায়েদ বাদী হয়ে কমলনগর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করেন। এরপর কাশেমের স্ত্রী-শ্বশুর, শ্যালক-জেঠাস ও শ্যালিকাকে গ্রেফতার করা হয়।