মোঃ মাকসুদুর রহমান রোমান শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুরের গারো পাহাড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে জেলার সীমান্তের নালিতাবাড়ী পাহাড়ি গ্রাম বাতকুচি রাবার বাগান এলাকায় খাবারের সন্ধানে এসে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়। হাতিটির মৃত্যুর সাথে জড়িত সন্দেহে বাতকুচি গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জেনারেটরসহ আটক করেছে বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চলে আসা বন্য হাতির তাণ্ডব উঠতি আমন ঘিরে আরো বেড়েছে। প্রতিনিয়ত দিনের বেলা ও রাতে অব্যাহত তাণ্ডব চলে আসায় স্থানীয় কৃষকরা ফসল বাঁচাতে ক্ষেতের চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে ভয়ে হাতির দল ধানক্ষেতে হানা দিতে আসে না।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে প্রায় অর্ধশত বন্য হাতির একটি দল বাতকুচি পাহাড়ের রাবার বাগান এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে খাবারের সন্ধানে নামে। ধানক্ষেতে তাণ্ডবের এক পর্যায়ে ক্ষেতের চার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এসময় সাথে থাকা অন্যান্য হাতিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডব চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। ফলে ভয়ে ফসল রক্ষায় বা হাতিটিকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে যেতে সাহস পায়নি। তবে ভোর হওয়ার পর হাতির দল চলে যায়।খবর পেয়ে রাতেই বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জার রফিকুল ইসলাম লোকবল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।
এদিকে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) সাদিকুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। সেই সাথে মৃত হাতির পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানায়, সীমান্তের পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন ধান ক্ষেতের মালিকরা হাতির তাণ্ডব থেকে তাদের ফসল বাঁচাতে জেনারেটরের মাধ্যমে ক্ষেতের চারপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ করে রাখেন। ওই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হাতির পোস্টমর্টেম শেষে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।