আবুল কাশেম আযাদ,স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঠাকুরদীঘি বাজার সংলগ্ন এলাকায় গত ০৪/০২/২৪ইং রোজ: রোববার বিকেল ৩ ঘটিকার সময় সংবাদ সংগ্রহ করে কেরাণীহাট ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ছমদিয়া পুকুর পাড় বাজারে পৌঁছালে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত মুখোশধারী ১২-১৫ জন লোক মোটরসাইকেল যোগে বাজারে এসে অতর্কিত অবস্থায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সংবাদকর্মী কে তুলে নিয়ে চিব্বাড়ী হয়ে করাইয়া নগর দলিয়ার দোকান দিয়ে বের হয়ে ঠাকুরদীঘি বাজারের পূর্ব পাশে নিয়ে গিয়ে অনেক টর্চার করে। একি স্থানে ১ ঘন্টার বেশি অবস্থান করেনি। রাতের ভেতর ঠাকুরদীঘি বাজারের আশপাশের এক-জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে রাতভর অমানবিক নির্যাতন করে। পরদিন ০৫/০২/২৪ ইং রোজ: সোমবার দুপুর আনুমানিক ২ ঘঠিকার সময় ছমদিয়া পুকুর পাড় বাজারে নিয়ে এসে ইউপি সদস্যের অফিসে রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে আহত সংবাদকর্মী মনজুর আলমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি দীর্ঘ ৮ বছর যাবত সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত আছি। আমি বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছি। আমি আর অপর এক সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ শেষে যে যার মতো বাড়ি ফিরছিলাম। এমতাবস্থায় আমি ছমদিয়া পুকুর পাড় বাজারে এসে পৌঁছালে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী কিশোর গ্যাং বাইক যোগে এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর অমানবিক নির্যাতন করে। আর মারধর করার সময় বলেছিলেন। তোমার সাথে স্থানীয় এতো লোকের সাথে মত বিরোধ কেন। আমি নাকি স্রোতের বিপক্ষে চলি। আমি নাকি স্রোতের বিপক্ষে কাজ করেছি। কিন্তু আমি বলেছি আমার সাথে কারো কোন ধরনের বিরোধ নেই। ওরা আমার সংগ্রহে থাকা সকল সংবাদের তথ্যাদি ও মোবাইল ফোনের সকল রেকর্ড ডিলিট করে দেন এবং মোবাইল থেকে মেমোরি কার্ড নিয়ে ভেঙে পেলেন। পরে ছমদিয়া পুকুর পাড় বাজারে এসে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কার্যালয়ে রেখে চলে যান।
বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে।