নুরুল কাবীর বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম:
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্বাস উদ্দিন ইকবাল কর্তৃক তারই ব্যবসায়িক অংশীদার মোহাম্মদ ইউনুস ও মার্কেট নির্মাণে একাধিক বিনিয়োগকারীর অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের কস্তুরি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন ইকবালের ব্যবসায়িক অংশীদার মোহাম্মদ ইউনুস।
এ সময় মোহাম্মদ ইউনুস অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন ইকবাল আমার ব্যবসায়িক অংশীদার। সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বাজালিয়া নিউ মার্কেট নির্মাণের সময় থেকে আমরা যৌথভাবে ব্যবসা শুরু করি। মার্কেটটি নির্মাণের সময় আমরা একাধিক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করি। মার্কেটটি পুরোপুরি চালু হওয়ার কয়েক বছর পর আমি কিছু বিনিয়োগকারীর টাকা পরিশোধ করলেও তিনি বাকী টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমান আত্মগোপনে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি তিনি আমার বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মার্কেট নির্মাণ কাজে বিনিয়োগকারী শাহ আলম, নূর মোহাম্মদ, কামাল উদ্দিন, জমির উদ্দিন, আমিন উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত চেয়ে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিন ইকবালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে এড়িয়ে যান। তিনি আমার ও বিনিয়োগকারীদের সর্বমোট ১ কোটি ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৮ টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে আত্মগোপন রয়েছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি। মহামান্য আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তিনি এখন পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন ইকবালকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ইউনুসের স্ত্রী কোহিনুর আকতার বলেন, যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন ইকবাল ছিলেন আমার স্বামী মোহাম্মদ ইউনুসের ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি আমার স্বামী ও বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত না দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উল্টো আমার স্বামী ও আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আমার স্বামীকে হয়রানি করতে তিনি আমাকেও মামলায় জড়িয়েছেন। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিন ইকবালকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিন ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ইউনুছ থেকে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাওনা আছি এবং জাল দলিলের মাধ্যমে সম্পদ সম্পদ আত্মসাৎ করে বিক্রি করেছেন। আমাকে আমাকে কোন বিক্রয়ের কোন টাকা দেয় নাই। না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।