মোঃ আলামিন সরকার,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পালপাড়া গ্ৰামে ৫টি বাড়ির সবাইকে অচেতন করে গভীর রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এসময় চুরি করা ৫ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বুধবার (১৩ই নভেম্বর) বুধবার দুপুর ১২ টায় শাহজাদপুর থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে শাহজাদপুর উপজেলার গারাদহ ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের শংকর পালের পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টিন কেটে পাঁচটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায় সঙ্গবদ্ধ চোর চক্র, এ সময়ে চোরেরা নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
পরদিন এই ঘটনা দেশব্যাপী তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করে। ওই দিনেই শংকর পাল বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শাহজাদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম আলী বলেন, উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের পালপাড়ায় দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনার পর মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ক্রমে শাহজাদপুর থানার একটি চৌকস টিমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের হামলা কোলা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে মোঃ আল আমিন সরকার, বড় মহারাজপুর গ্রামের মৃত আজিজুল মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম মদন ও একই গ্রামের ময়নাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হামিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শাহজাদপুর পৌর সদরের স্বর্ণপট্টীতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী লতা জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারী নগরডালা গ্রামের শ্রী চিত্ত কর্মকারের ছেলে শ্রী পল্লব কুমার কর্মকার কে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে স্বর্ণপট্টিতে তার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে লুন্ঠিত ৫ ভরি ২ আধা স্বর্ণে গহনা ও ৩ ভরি ৮ আনা রুপার গহনা উদ্ধার করা হয়। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
ওসি আসলাম আলী আরো জানান, চোরেরা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি ও সলঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় তারা অজ্ঞান করে চুরি করে থাকে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল টিউবওয়েলের পানির মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মেশানো হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা গোপনে লবনের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ছিল।