এ.এ.রানা:: সিলেট নগরীর কাস্টঘরের সুইপার কলোনী অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জরুরী হয়ে পরেছে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন বিজ্ঞমহল। সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) কর্তৃক কাস্টঘরের সুইপারদের পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সুইপার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টাকার বিনিময়ে বাঙ্গালি লোক দিয়ে তাদের কাজ করায়। তারা এখন পরিচ্ছন্নকর্মীর কাজ না করে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
কাস্টঘরের সুইপার কলোনীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দৈনিক কোটি টাকার মাদকদ্রব্য আসে। এই সব মাদকদ্রব্য এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সিলেটের আশপাশ এলাকায়। সুইপার কলোনীর বেশ কয়েকটি ঘরে ফেনসিডিল, গাজা ও ইয়াবা নামক মরণ নেশা নির্বিগ্নে বিক্রি হচ্ছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল ভারতীয় মদসহ সকল প্রকার মাদকদ্রব্য এখানে পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য তা নিশ্চিত করেছে।
এই সব মাদকদ্রব্যের কারণে সিলেট নগরীর আশপাশ এলাকাসহ পূণ্যভূমি সিলেটের যুবসমাজের
বৃহৎ একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই!
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এতোবড় অপকর্ম হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছেন। এমন কি সাংবাদিক সমাজের বৃহৎ একটি অংশের নজরে কেন বিষয়টি আসছেনা তা বোধগম্য নয়? অথচ তাদের সন্তানরাই নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ছেলে মেয়েরা সিলেটের বিখ্যাত কিন্ডারগার্ডেন থেকে শুরু করে নামীদামি প্রাইভেট কলেজে পড়াশুনা করছে এবং আধুনিক মানের মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ব্যবহার করছে।
একদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি অন্যদিকে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি অপরদিকে কোতোয়ালি মডেল থানা থাকা স্বত্বেও ছিনতাইকারী থেকে শুরু করে সবধরনের অপরাধীদের বৈধ আস্তানায় এই জায়গাটি পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে এ ব্যপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তারা অসহায় হয়ে পরেছে পরিছন্ন কর্মীদের কাছে। টোকাই থেকে শুরু করে হাই প্রোফাইল লেবেলের সন্ত্রাসীদের আনাগোনা এখানে। তাই তারা চরমভাবে নিরাপত্তাহীন।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিতরে সোর্সদ্বারা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি নেশা দ্রব্য বস্তু কেনার পরে রাস্তায় আটকিয়ে তল্লাশী করে নেশা দ্রব্য জিনিস হাতেনাতে ধরার পর পুলিশের চাহিদা মিটিয়ে ফেললে আবার ছেড়ে দেন। ছিনতাই, জুয়া, মাদক সবই চলে কাস্টঘরে এ যেন সকল অপরাধের নিরাপদ আস্তানা। সারা সিলেটের সকল অপরাধীর মিলনমেলা কাস্টঘর। পুলিশ, ডিবি, সিআইডি ও র্যাবের সোর্স যারা আছে সবাই সুইপার ও দাগী অপরাধীদের সাথে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত।
এ ব্যপারে তরিৎ পদক্ষেপ নিতে সচেতন মহল মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।