সিলেট প্রতিনিধি >> প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে বর্ডার গার্ড স্কুল শিক্ষিকা জাহেদা খানম এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভোক্তভোগী স্বামী।
ভোক্তভোগী মিসবাহুর রহমান সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিলেটের আমল গ্রহণকারী ০৩ নং আদালতে এ মামলা করেন । মামলা নং- শাহপরান (রহ.) সি.আর. ৪৩১/২০২৪।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয় তার স্ত্রী আখালিয়া বর্ডার গার্ড স্কুল শিক্ষিকা জাহিদা খানমকে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- জাহিদার পিতা মনছুর উর রব ইকবাল, মাতা নুরুন্নাহান এবং বোনজামাই মো. মাসুদ রানা।
প্রতারণার শিকার স্বামী মিসবাহুর রহমান সিলেটের শাহপরান থানার বালুচর এলাকার বাসিন্দা। মিসবাহুর রহমান তার স্ত্রীর কাছে প্রথম বিয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাকে প্রাণনাশ ও গুমের হুমকি দিয়েছেন প্রতারক স্ত্রী ও শ^শুর বাড়ীর লোকজন। জাহেদা খানম সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগ এর নেত্রী বলেও নিজেকে জাহির করেন, আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে বলে মিসবাহুর রহমানকে প্রাণে মেরে ফেলবে, সরকার পতন হলে কি হবে, সে নাকি রাজনীতির খেলোয়ার , এখনো রক্ত গরম, এসব অভিযোগ উঠে।
মামলার এজহারে ভোক্তভোগী মিসবাহুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই নগরীর উপশহরস্থ মনছুর উর রব ইকবালের মেয়ে জাহিদা খানমকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের সময় জাহিদা খানমকে কুমারী হিসেবে উপস্থাপন করে নিকাহনামার ৫ নং কলামে “কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না? কলামে , কুমারী, লিখেন কনেপক্ষ। বিয়ের পর থেকেই জাহিদা খানম কথায় কথায় তার সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতেন এবং গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করতেন না। সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে গেলেও এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন জাহিদা খানম পূর্ববিবাহিত। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জাহিদা খানম বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।
মিসবাহুর রহমান মামলায় উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৩০ জুন তার স্ত্রী নাইওর যান। ১০ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি জাহিদা খানমকে আনতে শ্বশুর বাড়ী যান। তখন জাহিদা খানম, তার মা, বাবা ও বোনজামাই একত্রে মিসবাহুর রহমানকে প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেন ভবিষ্যতে জাহিদার পূর্বের বিয়ের বিষয়ে কোনো কথা বললে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে। একপর্যায়ে তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের শাহজালাল উপশহরস্থ রেজিষ্ট্রার ও কাজী অফিস হতে নিকাহনামার কপি সূত্রে নিশ্চিত হন জাহিদা খানম পূর্ববিবাহিত। ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মিসবাহ উদ্দিন আফজল নামে একজনের সাথে জাহিদার বিয়ে হয়েছিল। যার বালাম নং ০১/২০১৯ ইং, বিবাহ নং-৫৮/২০১৯, পৃষ্টা নং-১৭, তারিখ-২৭/০৯/২০১৯ ইং।
মামলায় তিনি সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে পূর্বের বিবাহের কথা গোপন করে বিয়ে এবং প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় সুবিচারের দাবি জানান।
৭/১০/২৪ ইং তারিখে
পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে এবং প্রাণনাশের হুমকির
অভিযোগ ভুক্তভোগী স্বামী! এই শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় নিউজ হয়, কিন্তু জাহেদা খানম তার বক্তব্যে স্বীকার করেছেন তার উপর মামলা
হয়েছে, এবং সিলেট প্রেস ও অন্য পোর্টাল থেকে টাকা দিয়ে নিউজ কাটিয়েছেন।
জাহেদা খানম তার বক্তব্য আরো বলেন যদি কেউ তার নামে এসব সত্য সংবাদ প্রকাশ করে তাকে মামলা দিবেন।
এসব হুমকি দিচ্ছেন, এক প্রতিবেদককে।
সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে গেলেই আওয়ামী নেত্রী দের হুমকির মুখে পড়তে হয়।