নিজস্ব প্রতিবেদক>
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দীর্ঘদিন যাবত দেখছি ফিলিস্তিনির গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত নৃশংসতা চলছে। গাজা নিহত শিশুদের ছবি আমাদের কমল প্রাণ শিশুদেরও হতবাক করেছে। সময় এসেছে বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের একত্রি হয়ে আওয়াজ তুলার, যেন এই নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ হয়। ফিলিস্তিনি বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রমাণিত এটি কোনো আঞ্চলিক বিষয় নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বিষয় এবং যে সমস্যার সমাধান শুধু মাত্র সম্মেলিত প্রচেষ্ঠার মাধ্যেমেই সম্ভব। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ফিলিস্তিনিবাসীর পাশে ঐক্যবন্ধ ভাবে সবাইকে দাড়াতে হবে। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে ফিলিস্তিনিদের পাশা থাকার অঙ্গিকার করেছে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সমর্থনে আমরা সব সময় অবিচল থেকে ছিলাম। ইয়াসির আরাফাত ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে এই বিষয়ে আমরা অঙ্গিকার বন্ধ। এই বিষয়ে জেরুজালেম মুক্ত করার জন্য ইসলামি সংস্থার ৩ সদস্যের যে কমিটি হয়েছিলো সেই কমিটিতে অন্যতম ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সকারের প্রতি, ফিলিস্তিনি বর্বরোচিত নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সক্রিয় হওয়া এবং গাজায় খাদ্য অবরোধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিরহ মানুষের প্রাণহানী অবিলম্বে বন্ধ ও এই বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য অন্য সকল রাষ্ট্রের সমম্বয়ে এই দাবিটি গুলো সকল বৈশ্বিক ফোরামে তুলে ধরার আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দেশব্যাপী মহানগরীতে প্রতিবাদ ও সংহতি র্যালি অংশ হিসেবে কোট পয়েন্ট থেকে র্যালি পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আজ গাজাই পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ শিশু আর বিধবার সংখ্যা পরিমাপযোগ্য নয়, এবং প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। মাথা গোঁজার আশ্রয় তো দূরের কথা, একবেলা খাবার, চিকিৎসা কিংবা তৃষ্ণা নিবারণের সামান্য পানিও আজ তাদের কাছে দুষ্প্রাপ্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ইতিহাসের জঘন্যতম এই গণহত্যার ঘটনায় বিশ্ব বিবেক নিরব, বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করুন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার অবসান হোক। প্রতিষ্ঠিত হোক ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমির অধিকার।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্রথম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, বিশ্ব বিবেককে স্তম্ভিত করে ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় চলছে ইতিহাসের বর্বরতম নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলির নির্বিচার এই আক্রমণ থেকে নারী, শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ-কেউই নিস্তার পায়নি। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে মৃত ও আহতদের সংখ্যা। মৃতদেহ কবরস্থ করার মতো সামান্য ভূখণ্ড পর্যন্ত আজ অবশিষ্ট নেই। সেখানে অবিরাম বিমান আক্রমণ আর বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে টিকে থাকা মানব বসতির শেষ চিহ্নটুকু। মসজিদে প্রার্থনারত মানুষ কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরাও আজ নিরাপদ নয়। সেখানে নির্বিচার বোমা হামলায় নিমিষেই তাদের জীবনাবসান ঘটছে। আজ বিশ্ববাসীর উচিত, সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমে এই নৃশংস পৈশাচিক ধ্বংসযজ্ঞের অবসান ঘটানো। একমাত্র ঐক্যবদ্ধ মানবিক কণ্ঠস্বরে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদই পারে রাফা ও গাজার অসহায় মানুষের প্রতি সংঘটিত এই বর্বরতার অবসান ঘটাতে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্ডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।