1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিনের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ। - Bikal barta
৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শুক্রবার| রাত ৮:১৩|
সংবাদ শিরোনামঃ
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের রায় প্রকাশ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা স্যার’ না বলায় ক্ষেপে গেলেন সুনামগঞ্জের এসপি সারীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন  পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে আপন ছোট ভাইদের সাথে মিথ্যা পাঁইতারা করছে আপন বড় ভাইয়েরা ভাঙ্গায় এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু  খুলনা জেলা যুবদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় কয়রায় আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা।  শেরপুরে ১২০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ১ নেত্রকোণায় ৯ জুয়ারিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যলোচনা সভা।

সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিনের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বুধবার, এপ্রিল ৩, ২০২৪,
  • 134 জন দেখেছেন

 

হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেটঃ সিলেট বিভাগে গত রবিবার (৩১ মার্চ) রাত ১০ ঘটিকায় স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সর্বত্র বসতবাড়ীর চাল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধনী-গরীব সবার টিনের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বই-পুস্তক, পড়ার ঘর, গবাদি পশুর ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়াও শিলাবৃষ্টির সময় অনেক মুসল্লি মসজিদ থেকে যাওয়ার পথে শিলার আঘাতে মাথা ফেটে আহত হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে অনেক পরিবার দিন যাপন করছেন। নিম্নবিত্তরা টিন কিনতে পারছেন না। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ত্রীর সোনা বিক্রি করে টিন কিনছেন। এদিকে পরের দিন সোমবার (১ এপ্রিল) অসাধু ব্যবসায়ীরা ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা বান প্রতি টিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরে সাড়ে ৪ হাজার টাকা টিনের বান ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এ দুই উপজেলায় প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের টিনের চাল ফুটা হয়েছে। এই টিনগুলো কোন কাজে লাগানো যাবে না। কিন্তু নিম্নবিত্তরা টিন ক্রয় করার সাধ্যও তাদের নেই। আগামী ঈদুল ফিতরের খুশির কথা কেউ চিন্তা করছেন না। বরং ক্ষতিগ্রস্তরা নিজের জীবন বাঁচানোর সংগ্রামকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে এই দুই উপজেলায় ব্যবসায়ীগণ নির্ধারিত মূল্যে টিন বিক্রি না করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন।

টিন কিনতে দোকানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ লাইন ধরছেন। শিলার আঘাতে ফুটো টিনের ঘরে বৃষ্টির মধ্যে জীবনযাপন করছেন। কারো কারো বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। এমন ভয়াবহ চিত্র গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলায় দেখা যাচ্ছে। এ কারণে হাজার পরিবার কষ্ট-দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্তদের এসব ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শিলা বৃষ্টির আঘাতে শত শত মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই উপজেলায় ঘুরে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা এই স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির ফল দেখে বলেছেন, আগামীতে দেশে দুর্যোগ পরিবেশ সহনীয় টেকসই গৃহ নির্মাণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। বর্তমানে যে সব শিলাবৃষ্টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, এ তুলনায় দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বসতঘরগুলো দুর্বল।

স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলন কর্মী আব্দুল লতিফ সরকার বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা নিরূপায় হয়ে গেছেন। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা হয়নি। সেজন্য অবিলম্বে সরকারি ভাবে এই দুই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৭নং রনিখাই এলাকার ৯৫% বসত পরিবারের ৮০% মানুষ গরীব। গত দিনের শিলা বৃষ্টিতে তাদের ৮০ ভাগ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ঘরবাড়ির চালা ফুটো হয়েছে প্রায় ৭০ ভাগ।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!