সিলেট ব্যুরো::
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে দক্ষিণ সুরমা ও উত্তর সুরমার জুয়ার আস্তানায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে খেলার সামগ্রীসহ জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে অবৈধ জুয়ার প্রতারণা বন্ধ করে নগরবাসীর প্রশংসা কুরালেও, কয়েকটি জুয়ার আস্তানা বহাল থাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার শীর্ষ জুয়ারী নজরুলের নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখের আস্তানায় গত তিন মাসে একবারও পুলিশ, ডিবি,র্য্যাব অভিযান চালায়নি। অথচ ৩শত গজ দুরত্বে চাঁদনীঘাট মাছ বাজার আস্তানায় একদিন পর পর ডিবি অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ীদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করছে। তেমনী আরেক আস্তানা জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন আরেক শীর্ষ জুয়ারী কাশেমের আস্তানা সেখানেও বিগত জানুয়ারীর পর থেকে আর অভিযান দেওয়া হয়নি। পাশেই বাঁশ পালা মার্কেট মেতর পট্টিতে অন্তরের আস্তানা সেখানেও ডিবি পুলিশ কোন অভিযান পরিচালনা করেনি। তাই সচেতন মহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আশে-পাশের সকল জুয়ার আস্তানায় অভিযান হয়, কিন্ত নজরুল, কাশেম ও অন্তরের আস্তানায় কেন অভিযান হয়না?
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নজরুলের আস্তানার পাশে মেইন রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে লোকাল বাস দাড়িয়ে থাকে ফলে জুয়ার আস্তানা দেখা যায়না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জুয়ার প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের পকেট থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় কদমতলী ফাঁড়ির আইসি আবুল হোসেন, ডিবির সোর্স পরিচয়দানকারী সানী এবং র্য্যাবের সোর্স পরিচয়দানকারী আকাশের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় চলছে নজরুল, কাশেম ও অন্তরের জুয়ার রমরমা প্রতারণা। এই তিনজনের বিরুদ্ধে দৈনিক ভিত্তিতে জুয়ার বোর্ড থেকে বখরা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ডিবির ভাবমূর্তি নষ্টকারী সোর্স সানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।
জুয়ার প্রতারণা সম্পর্কে জানতে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি বিষয়টি দেখছি,শীগ্রই অভিযান দেওয়া হবে।