স্টাফ রিপোর্টার আলমগীর হোসেন:
আজ পাবনার ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট কলেজে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে কলেজের সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি গুলো উল্লেখ করে
১. উচ্চ শিক্ষার সুযোগ: ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে আধুনিক গবেষণা ও প্রযুক্তির সাথে পরিচিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সঠিক মর্যাদা ও গেজেট প্রকাশ:
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে, তাদের সঠিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কর্তৃক অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা
৩. শিক্ষক সংকট দূরীকরণ:
কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়োগ এবং বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংকট দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান:
ডিপ্লোমা কৃষি শিক্ষাকে DAE-এর অধীনে থেকে বের করে, সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৫. কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার:
সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে, যাতে গবেষণায় তাঁদের অবদান ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৬. বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম বেতন:
ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেল প্রদান করে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
৭. মাঠ সংযুক্তি ভাতা:
শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তির জন্য উপযুক্ত ভাতা প্রদান করে তাঁদের বাস্তবিক কাজের পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
৮. ফাউন্ডেশন ট্রেনিং:
চাকরিতে প্রবেশের পর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য ৬ মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে তাঁদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে, দেশের কৃষি খাতে দক্ষ ও পরিশ্রমী ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাঁদের ন্যায্য মর্যাদা পাবে ও কৃষি উৎপাদন ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে
আসুন, আমরা সবাই মিলিয়ে এই দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলি এবং কৃষি খাতে উন্নয়ন ও ন্যায্যতার নতুন অধ্যায় গড়ে তুলি!