1. jnsbd24@gmail.com : admin :
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সবাই কে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন মোঃ রায়হান ইবনে আবেদীন।  কুমারখালীতে নিম্নমানের ইট-খোয়া দিয়ে চলছে রাস্তা তৈরির কাজ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কালীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আপন দুই ভাই খুন সিলেটর ঘাসিটুলায় বেপরোয়া জাকিরের জুয়ার প্রতারণা পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক যৌথবাহিনির হস্তক্ষেপ কামনা হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে পাল্টা মামলা! হজের গুরুত্ব ও ফজিলত! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ মিললো ঘড়ে বিয়ের তিন মাসের মাথায়। ঈশ্বরদী ইপিজেড আরও দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু। ঝালকাঠীর নলসিটিতে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে রিমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগ। পঞ্চগড়ে কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি

পাইকগাছার ঘোষখালী নদীর কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ।

  • প্রকাশকাল : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রেজাউল ইসলাম পাইকগাছা প্রতিনিধি: 

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের জন দুর্ভোগের অন্যতম কারণ ঘোষখালী নদীর কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে সোমবার বিকেলে গড়ইখালীর ঋষিপাড়া সন্ধা বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজিত মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শহীদ আয়ুব ও মুসা ডিগ্রি কলেজের অভিভাবক সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক স ম রেজাউল করিম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাইকগাছা উপজেলার ১০ নং গড়ইখালী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান ঘোষখালী নদীটি ছিল এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। স্বাধীনতা উওর পরবর্তী উক্ত নদীর উপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীটি তার নাব্যতা হারিয়ে জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়। তখন থেকে নদীর পানি দিয়ে দুপারের কৃষকরা তাদের জমিতে উওম ধান্য ফসল ফলাতো এমনকি নদীতে উৎপাদিত মাছ তাদের আমিষের চাহিদা পুরন করতো। ঐ উৎপাদিত ফসলের একমাত্র পানির উৎসই হচ্ছে এই ঘোষখালী নদী। শুধু তাই নয় আশেপাশের ৪-৫টি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন হয় এই ঘোষখালী নদীর মধ্য দিয়ে। অথচ কালের বিবর্তনে গড়ইখালী ইউনিয়নের আশীর্বাদ সেই ঘোষখালী নদীটি আজ মৃত প্রায় এবং দুপুরের মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ বর্তমানে এই নদীটি। দীর্ঘদিন যাবত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধিদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে উক্ত নদীটি তার নাব্যতা হারিয়ে বর্তমানে মানুষের অন্যতম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা নদী আজ কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। নদীর পানি দূষিত এবং সম্পূর্ণ ভাবে বর্তমানে ব্যবহারের অনুপুযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কচুরিপানা এখন বিষধর সাপের এক অভয় অরন্যো পরিনত হয়েছে। যার ফলে সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর হতে বাহির হয়না সাপের ভয়ে। এমনকি কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা রাত্রে কোচিংয়ে যেতে পারেনা ভয়ে। কচুরিপানা হতে জম্ম নেয়া মশার উৎপাতে জনজীবন একেবারেই বিপন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল উপজেলা নেতৃবৃন্দ নদীর পানি তোলার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন। অথচ চেয়ারম্যান আজকাল করে নানা রকম তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে নদী থেকে এলাকাবাসীর অভিশাপ এই কচুরিপানা অপসারণ না করা হলে আগামী বৃষ্টি মৌসুমে বিষাক্ত সাপ লোকালয়ে প্রবেশ করে অনেক প্রান অকালে ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দু’পারের মানুষ তাদের এই অসহনীয় অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে আজকের এই মানববন্ধন।

 

মানববন্ধনে সমাজ সেবক, জনপ্রতিনিধি , বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ স্থানীয় নদীর দুপারের অসহায় ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved © dainikbikalbarta.com.Com
Customized By BlogTheme