1. jnsbd24@gmail.com : admin :
অধ্যক্ষ নেছার আহমদের বিরুদ্ধে সীমাহীন আর্থিক অনিয়ম-ও দুর্নীতির অভিযোগ! - দৈনিক বিকাল বার্তা
৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ৩:৫৯|
শিরোনাম :
পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা টোল আদায়, সিলেট-ওসমানীনগর ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক জানিয়েছেন সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন সেলিম।  সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের পরিবারকে ছাত্র শিবিরের ঈদ উপহার ছাগল প্রদান  শিবগঞ্জে মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করলেন মীর শাহে আলম ভাঙ্গায় বাস মাহিন্দ্রা মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ঘটনায় বাস আটক সুনামগঞ্জে ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদিরের প্রেস কনফারেন্স। ”হৃদয় সর্বদা বলুক” অধ্যক্ষ নেছার আহমদের বিরুদ্ধে সীমাহীন আর্থিক অনিয়ম-ও দুর্নীতির অভিযোগ!

অধ্যক্ষ নেছার আহমদের বিরুদ্ধে সীমাহীন আর্থিক অনিয়ম-ও দুর্নীতির অভিযোগ!

Reporter Name
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ৫৯৪ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার,, এস, এম সানিয়া মাসুদ:

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ। কলেজের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ তিনি নিজেই সম্পাদন করে থাকেন। আয় ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতা প্রকাশ হয়ে
যাবে এই ভয়ে তিনি আয় ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কক্ষে না রেখে নিজের জিম্মায় রাখেন। দুর্নীতি করে অধ্যক্ষ নেছার আহমদ কলেজের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। জানা যায় ০১-১০-২০১০ তারিখে অধ্যক্ষ হিসাবে নেছার আহমদ উত্তর বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি নিজের ইচ্ছামতো কলেজ পরিচালনা শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে টাকা তসরূপ করার অভিযোগ ছিল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের। এর প্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা কমিটি ২০১২ সালে আভ্যন্তরীণ বিশেষ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে। এ কমিটি কলেজের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব তদন্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায় এবং ৯০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ সেই রিপোর্টকে ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এর পর অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা আরোও চরম আকার ধারণ করে। উপায়ন্তর না দেখে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক
ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর ২১-১১-২০২৩ তারিখে ১৪ টি অভিযোগ সম্বলিত আবারও একটি আবেদন দাখিল করা হয়। আবেদনে ১৪ টি খাতের ফিরিস্তি দিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিগত ১৩/০১/২০২৪ এবং ১৪/০১/২০২৪ তারিখে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক জনাব শামীম আলী এবং অডিট অফিসার জনাব সুলতান আহমদ অধ্যক্ষ নেছার আহমদ কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করেন এবং ১৭-০১- ২০২৫ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ।তাঁদের দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের বিরোদ্ধে আনীত ১৪ টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি অভিযোগ হুবুহু প্রমাণিত হয়েছে এবং বাকী ৫টি অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তাগণকে অধ্যক্ষের অসহযোগিতার কারণে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ এবং প্রদর্শন না করায় আংশিক প্রমাণিত হয় । ১ নং অভিযোগ তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তাগণ অধ্যক্ষ নেছার আহমদের চূড়ান্ত আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন। আনীত অভিযোগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা যায় যে, কলেজের ব্যংক একাউন্টগুলো গভর্নিং বডির একজন সদস্য ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হচ্ছে ।গভর্নিং বডির সভাপতি ব্যতীত অন্য কারো স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার কোন বিধান নেই।এতে প্রতীয়মান হয় যে অর্থ আত্মসাতে অধ্যক্ষ তার অনুগত গভর্নিংবডির সদস্য ও নিজের স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করছেন। এ কাজটি তিনি ২০১৫ সাল থেকেই করে আসছেন ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন এর আগে তিনি শুধু নিজের একক স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতেন।তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ তদন্ত কালে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর থেকে রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে অনুরোধ করলেও অধ্যক্ষ শুধু ২০১৮ থেকে ২০২৩ অর্থ বছর সমূহের রেকর্ড সরবরাহ করেন।
২নং অভিযোগ তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ দেখতে পান যে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাবদ ৯ বছরে আদায়কৃত ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে অধ্যক্ষ শুধু ৫২ লক্ষ ৭ হাজার ৫৩৫ টাকার হিসাব উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই টাকা থেকেও তিনি ৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৪৬ টাকা হাতে রেখেই খরচ করেছেন যা সম্পূর্ন বিধিবহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ ৩ নং অভিযোগ তদন্তকালে দেখতে পান যে, প্রতিবছর বিধিবহির্ভূতভাবে একাদশ ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করা হয়েছে কিন্তু সমুদয় টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়নি।এভাবে আদায়কৃত ৮০ লক্ষ টাকার মধ্যে মাত্র ২৩ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা আদায়ের হিসাব প্রদর্শন করেন এবং তা থেকেও আবার ১৯ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৫০ টাকা ব্যাংকে জমা রেখে অধ্যক্ষ ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা নগদ হাতে রেখে খরচ করেন যা সকল আর্থিক নিয়ম নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
৪ নং অভিযোগের ভিত্তিতে এইচ এস সি পরীক্ষায় প্রতিবছর অতিরিক্ত বোর্ড ফি আদায়ের বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ সত্য বলে প্রমাণ পেয়েছেন।এই খাতে বিগত ৫ বছরে ৮০ লক্ষ টাকা আদায় করা হলেও অধ্যক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত টাকার পরিমাণ মাত্র ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৭০ টাকা।সেই টাকা থেকেও আবার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকা কোথায় আছে তার কোন হদিস মেলেনি।
৫ নং অভিযোগ যাচাই করতে যেয়ে দেখা যায় যে, ফরম ফিলাপের সময় রশিদবিহীন কোচিং ফির নাম করে টাকা আদায় করা হলেও অধ্যক্ষ শুধু ২০১৮ সালে কোচিং ফি আদায় ও বণ্টনের রেকর্ড তদন্ত টিমের সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। কিন্তু হঠাত করে শুধু ২০১৮ সালেই কোচিং ফি আদায় করার কারণটি স্পষ্ট নয়। এতে প্রমাণিত হয় যে প্রতিবছরই কোচিংফি আদায় হয়েছে এবং তা শিক্ষকদের বঞ্চিত করে কৌশলে অধ্যক্ষ তা গায়েব করেছেন । কোচিং ফি সংক্রান্ত বিগত ৯ বছরে আদায়কৃত ২৭ লক্ষ টাকার মধ্যে মাত্র ৬৮ হাজার ৩০০ টাকার হিসাব দেখানো হয়েছে ।বাকী ২৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০০ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
৬ নং অভিযোগ ছিল বিভিন্ন বর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের।নিকট থেকে বিগত ৯ বছরে (২০১৫-২০২৩) ৩৩ লক্ষ টাকা সেশন ফি বাবদ আদায় করা হয়েছে। কিন্তু এ টাকা কোথায় আছে বা কি করা হয়েছে তার কোন হিসাব রাখা হয়নি এবং তা তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।।এতে প্রমাণিত হয় টাকাগুলো তছরুপ করা হয়েছে।
৭ নং অভিযোগ যাচাইকালে দেখা যায়, কলেজের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কলেজের নিজস্ব ফটোকপি মেশিনে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করা হলেও নানা অজুহাতে ফটোকপির টাকা অধ্যক্ষ অলিখিতভাবে নিজে গ্রহণ করেন কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ফটোকপি বাবদ কোন টাকা গ্রহণ করেন নি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।এভাবে বিগত ৫ বছরে আভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফটোকপি বাবদ ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
৮ ও ৯ নং অভিযোগ যাচাইকালে দেখা যায় যে, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৭২০ টাকা এবং ছাত্রছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত শিক্ষাবোর্ড থেকে পাপ্ত এস এম এস এর ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার হিসাব যথাযথ নথিপত্রে সংরক্ষণ করা হয়নি।টাকাগুলো আত্মসাৎ এর মানসে এরূপ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিকট প্রশংসাপত্র ও সার্টিফিকেট বিতরণ কালে জনপ্রতি ৫০০ টাকা অলিখিতভাবে ও গোপনে আদায় করা হয় বিধায় বিষয়টি সকল শিক্ষক অবহিত ছিলেন না। তাই এ ব্যাপারটি তদন্ত কালে তদন্ত কমিটির কাছে স্পট হয়নি। তবে প্রকৃত বিষয়টি হলো প্রশংসাপত্র ও সার্টিফিকেট নিতে আসা শিক্ষার্থীগনকে অনেকটা জিম্মি করে নানা অপকৌশলের মাধ্যমে তাদের নিকট থেকে রশিদবিহীন টাকা আদায় করা হয়।
ডিগ্রি পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিগত ৫ বছরে (২০১৮-২০২৩)ভর্তি ,সেশন ফি,মাসিক বেতন,পরীক্ষার ফি,এবং ফরম পূরণ বাবদ ৯৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭২ টাকা আদায় করা হলেও ব্যাংকে জমা রাখা হয় ৭৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ২০৬টাকা মাত্র । ২৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৬ টাকা নগদ হাতে রাখা হয় যা তদন্তকালে
প্রকৃত ব্যয়ের কোনো যুক্তিসংগত হিসাব পাওয়া যায়নি।
দাতা ও হিতৈষীগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত ৬ লক্ষ টাকার হিসাব প্রদর্শন করতে অধ্যক্ষ অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে টাকাগুলো আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে । ১৩ নং অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায় যে,। কলেজে কোনো বছরই বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি- এবং কলেজে কোন উপকমিটি যেমন : অর্থ ও ক্রয় কমিটি, অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি, বেতন আদায় ও ফি কমিটি, শিখন ও মূল্যায়ন কমিটি, উন্নয়ন কমিটি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গঠন করা হয়নি।সকল কাজ অধ্যক্ষের একক সিদ্বান্তে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয় যে, অর্থ আত্মসাতের জন্যই এসব কর্মকান্ড অধ্যক্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ নেছার কলেজে বেশ কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন ।ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। এর পর ০১.১০.২০১০ সালে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, গোপনীয়তা ও বহুলভাবে পরিচিত নয় এমন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে অধ্যক্ষ পদটি ভাগিয়ে নেন আর সেই থেকেই শুরু হয় তার চরম স্বেচ্ছাচারিতা।তিনি একাই একশো হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা দিতে তিনি সসময়ই
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে থাকেন। এ কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেক টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। এভাবে দেখা যায় যে বিগত ৯ বছরে (২০১৫- ২০২৩) অধ্যক্ষ নেছার আহমদ উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং কলেজে একক আধিপত্যে রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছেন। কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের বাড়ি ভাড়া ,প্রভিডেন্ট ফান্ড ,উৎসব ভাতা ইত্যাদি সঠিক সময়ে এবং সঠিক হারে
পাওয়া থেকে বঞ্চিত আছেন। অধ্যক্ষ কলেজের তহবিল থেকে ইচ্ছেমত টাকা গায়েব করেছেন ,আদায়কৃত অর্থকে কলেজ তহবিলে না রেখে নিজস্ব অর্থ হিসেবে খরচ করেছেন। নিজ কক্ষে দুটি এ সি স্থাপন করে রাজকীয়ভাবে সময় কাটাচ্ছেন।
কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ,অভিভাবক,ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী পতিত সরকারের মদদ পুষ্ট এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অবিলম্ভে অপসারণ চায়।
বিষয় গুলো জানতে এই প্রতিবেদক
অধ্যক্ষের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তারপর আবারো তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন তাকে এইসব কিছুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন তারপর তাকে যখন বলা হয় যে আপনার সব র্দুনীতি , টাকা জালিয়াতির যথেষ্ট প্রমান রয়েছে এবং এসব এর অনেক তদন্ত হয়েছে তার পর তিনি স্বীকার করেন, যে বা যারা যা রিপোর্ট দেয়ার দিছে তা সত্য প্রমানীত হয়েছে তদন্তে কিন্তু তিনি নিজে বলেন এইসব কিছু ভুয়া । আবার এ ও বলেন যে এখন আবার পাল্টা সরকারি ভাবে উনার তদন্ত চলছে যা কিছু তার প্রমান দেওয়ার তিনি দিছেন এখন তদন্ত হওয়ার পর সত্য -মিথ্যা যা রিপোর্ট আসার আসবে তিনি তার অপেক্ষায় আছেন।
উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি
মোহাম্মদ ময়নুল হককে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে তিনি বলেন : বিগত আওয়ামী সরকারের লুটপাটের মহোৎসবের সঙ্গী হয়ে একেক-জন একেকটা পদ্ধতি অনুসরণ করে লুটপাটে শরিক হয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সফলভাবে দুর্নীতি করে অনেকে কৌশল অবলম্বন করে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে গেছেন। তদন্ত না করে কোন অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলতে পারিনা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।পদে বা দায়িত্বে রয়েছেন এমন সকল দায়িত্বশীলদের সম্ভাব্য অনিয়ম দুর্নীতি
ও দুর্নামের ঝুঁকি সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করা উচিত।আগামীর বাংলাদেশে দুর্নীতিমুক্ত
হওয়া ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
@ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ ।