এম এ কাদের, মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিমূলঘর গ্রামের শামীম আন্দোলন চলাকালে সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের মৃত
লাল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া ওরপে শফিক (৫৮) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে এসেছিলো পিবিআই’র ওই টিমটি।
শামীম ঢাকার সাভারে শরবত বিক্রি করতেন। ২০২৪ সালের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভারে পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হয়।
এ ঘটনায় পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার সাভার গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে জাকারিয়া হোসেন বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামালসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের
বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আশুলিয়া) আদালতে
মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ১২৪৮/২০২৪। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকা পিবিআইকে। মামলার
তদন্তকারী দল আদালতের নির্দেশে
১৪ই জুলাই সোমবার শহীদ শামীমের লাশ
কবর থেকে উত্তোলন করার জন্য মাধবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ মুজিবুল ইসলাম’কে সাথে নিয়ে ওই গ্রামে যান। কিন্তু নিহত শামীমের স্বজনরা
লাশ উত্তোলন করতে আপত্তি জানান। শামীমের ছোট ভাই জহুরুলের দাবি- কোথাকার কে মামলা করেছে তা আমরা জানি না। আমরা শামীম হত্যাকান্ডের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি আগেই। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যা হবার হবে।
দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলার পিবিআই এর গোবিন্দসহ পিবিআই এর ইন্সপেক্টর খাইরুজ্জামান খায়রুল জানান- “শামীমের স্বজনদের আপত্তির বিষয়টি আমরা আদালতকে অবহিত করব। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সে ভাবেই তদন্তের কাজ চলবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মুজিবুল ইসলাম জানান- আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে গেলেও নিহতের পরিবারের লোকজনের আপত্তির কারণে আমরা লাশ উত্তোলন না করেই চলে আসি।
জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে মামলা দায়ের করেছেন তার সততা নিশ্চিত করে এডিশনাল এসপি মোঃ জানে আলম।