ভাঙ্গা ( ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম সোহাগের এ বিরুদ্ধে তার নানা অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা,হতদরিদ্রদের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত সামগ্রী আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ওই ইউনিয়নের ১২ জন ইউপি সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তার অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের দ্রুত অপসারণের দাবীতে শুক্রবার সকালে পরিষদ চত্বরে ইউপি সদস্য,ভুক্তভোগী কয়েক নারী,এলাকাবাসী এক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরিষদ চত্বরে জড় হয়ে কয়েক, শ নারী পুরুষ চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে নানা শ্লোগান দেয়। এ সময় ইউপি সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী ভূমিকায় কোন ইউপি সদস্যদের সাথে সম্পর্ক না রেখে বরাদ্দকৃত সব সামগ্রী একাই আত্মসাৎ করছেন। এতে ইউপি সদস্য আনোয়ার উদ্দিন মোল্লা বলেন,ওই চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত সামগ্রী মেম্বারদের স্বাক্ষর না নিয়ে একাই আত্মসাৎ করছেন। তাছাড়া তিনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সংসদ সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের অন্যতম দোসর।সে বেশীর ভাগ সময় পরিষদ তালাবদ্ধ রেখে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন।এতে জনসাধারণের সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া হতদরিদ্রের জন্ম বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের মালামাল,ভিজিএফ,ভিজিডি,প্রসুতি ভাতা গ্রহিতা সহ উপকারভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী নারী পুরুষ সহ ইউপি সদস্যরা জড় হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে শ্লোগান দিচ্ছেন। তারা দ্রুত চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবী করেন। কর্মসূচি চলাকালে আরও বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য ইয়াদ আলী ফকির, চান মিয়া মেম্বার, আতিয়ার মেম্বার, আনারআলী মেম্বার, ভাইস চেয়ারম্যান মেম্বার সহ সকল মেম্বার এসময় তারা বক্তব্য রাখেন প্রমূখ।