মোঃ মন্জুরুল আহসান:
স্টাফ রিপোর্টার:-উত্তারাঞ্চলের রেল যোগাযোগের নাভী হিসেবে পরিচিত কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বৃটিশ আমলে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্টেশনের মূল কার্যক্রম। সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নেই আধুনিক গণশৌচাগার, নামমাত্র যাত্রী বিশ্রামাগার যা অপরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ পানির অভাব, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত, টোপলাটানা পাটির উপদ্রব, মুসাফির খানা হকারের দখলে, ওভারব্রিজ অপরিচ্ছন্ন, রেল লাইনে বিভিন্ন জায়গায় পাথর নেই বললেই চলে, প্লাটফমসহ স্টেশন চত্বরে অবাধে পশুর চলাফেরা, ডিজিটাল যুগেও হরহামেশাই টিকেট যায় কালো বাজারে। সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা।এই স্টেশনে দিন রাতে ২৪টি ট্রেন যাতায়ত করে, মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দুই কোটি ৫০ হাজার টাকা আয় হলেও স্টেশনটি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। আধুনিক সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা। জনবল সংকট নিত্য দিনের। রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার হোসনে মোবারক জানান, ১০টি আন্তঃনগর, ৮টি মেইল, ৬টি লোকাল ট্রেন চলে এই রেলওয়ে জংশন দিয়ে। অথচ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটিতে চরম জনবল সংকট রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চালাচ্ছি কার্যক্রম। শুধু তাই নয়, বর্ষায় বৃষ্টির কারণে স্টেশনের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। নানা সমস্যা থাকলেও গত অর্থবছরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে অনেক বার বলেছি কোনো কাজ হয়নি। স্টেশনটি বর্তমানে গরু ছাগলে বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে স্টেশনের চাল ও ছাদ দিয়ে টপ টপ পানি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। আন্তঃ নগর ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী সাব্বির হোসেন জানান, টিকেটের কালেবাজারীতো রয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত।যাত্রীদের অভিযোগ, গণশৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নাই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই সেখানে। একটি ১ম শ্রেণির ওয়েটিং রুম থাকলেও কোনো আয়া নেই সেখানে। পরবর্তীতে ২য় শ্রেণির একটি ওয়েটিং রুম তৈরী করা হলেও পরিস্কার পরিচ্ছনতার অভাবে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২ জন সুইপার কাগজে কলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় থাকে নষ্ট। রেলওয়ে মেডিকেলের অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে, ফলে ট্রেনেকাটা রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোয়াটারগুলো বিলুপ্ত প্রায়। টিকিট কালোবাজারে বিক্রির কথা অস্বীকার করে স্টেশন মাষ্টার হোসনে মোবারক জানান, এ স্টেশনে ৩৭ জন স্টাফের বিপরীতে আছে মাত্র ২৫ জন। সমস্যা আছে ধিরে ধিরে উন্নয়নও হচ্ছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। এর মাঝে আপনারা জানেন যে পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজের সমিক্ষা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা