তোফায়েল আহমদ : সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাওন হাওর গ্রামে পূর্ব বিরোধে বাদী পক্ষের পক্ষে সালিশি রায় হলে উক্ত অভিযোগের আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে একই এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ গ্রামবাসীর উপর হামলা করেছে একদল সন্তাসী,সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র, সস্ত্রে স্বজ্জিত হয়ে গত ১৪/১২/২০২৩ ইং তারিখে ভোর ৫:০০ ঘটিকার সময় হঠাত করে বাদীর বসত বাড়িতে হামলা করে ঘরের চালে, ঘরে আঘাত করতে থাকে, ঘরে ঘুমিয়ে থাকা বিল্লাল হোসেন, মিনারা বেগম, নাছির মিয়া, রাকিব মিয়া ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাহিরে বেরিয়ে আসলে আসামীরা দা,লোহাররড,বাশের লাঠি দিয়া বেদম মারপিঠ শুরু করে এবং তাদের মাথা,হাত, পা,পিঠ জখম করে রক্তাক্ত করে ফেললে তাদের চিৎকার শুনিয়া আশপাশের লোকজন দৌড়াইয়া আসিয়া জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের প্রেরণ করিলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩১,২৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায়। অদ্য ১৬/১২/২০২৩ ইং তারিখে আহতদের আত্নীয়, স্বজন পরামর্শ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বাদীর ভাই আয়নুল হকের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমার ভাইদের উপর বিনা কারনে পূর্বের সালিশের রায় আমার ভাইয়ের পক্ষে আসলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আছে সেটা আমরা জানতাম না, তাই হঠাত করে আমার ভাই, ভাবীদের উপর আসামীপক্ষ হামলা করে মেরে ফেলার জন্য তারা চেষ্টা করে কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? আমার পরিবারের সবাইকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তবে আমি খবর পেয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করতে দুইদিন বিলম্ব হয়। তিনি বলেন, জৈন্তাপুর থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা হয়েছে, তিনি অত্যন্ত নীতিবাদ পুলিশ অফিসার, অনতি বিলম্বে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন বলে তিনি জনান। আহতদের আরেক ভাই ফখরুল ইসলাম নিরীহ লোকদের উপর অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি উদার্থ আহবান জানান।