মোঃ শহিদুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার):নিজ পৈতৃক সম্পত্তিতে লাগানো গাছ জোরপূর্বক কাটার অভিযোগ তুলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মহাস্থান প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগীর সাংবাদিক সম্মেলন। সোমবার দুপুর ২টায়, মহাস্থান প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোকামতলা ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের মৃত মাজেদ আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত নিজ দখলকৃত ৩২ শতক জমির ১৬ শতকের ওপর বিভিন্ন ধরনের ফলজ বাগান লাগিয়েছি। যাহার ৫৪৯ নং দাগের পূর্বধারে ৬০ বর্গলিং রাস্তা রয়েছে৷ এর মধ্যে পূর্বধারে চলাচলের জন্য ৭ ফুট রাস্তা বিদ্যমান রয়েছে৷ যাহার উত্তর ও দক্ষিণ মাথায় ৭ ফুট। উক্ত ৫৪৯ দাগে ২২ বর্গ লিং সরকারি জমি অন্যান্যদের মত আমিও ভোগ করছি। যাহার উপর ১৫০ টি সুপারি গাছ ৩ বছর পূর্বে আমি রোপন করছি। গাছগুলি বেশ বড় হয়েছে। উক্ত রাস্তার উপর আরো ২০ টি আম, লিচু সহ বিভিন্ন ফলজ গাছ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭/৩/২৫ইং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে কিছু না বলে একই গ্রামের মাবুল হোসেনের পুত্র ফেরদৌস হোসেন (৫৫), ফেরদৌসেন পুত্র কবির হোসেন (২৫), ফেরদৌসের স্ত্রী মোছাঃ লিপি বেগম (৩০)। জমিতে রোপণকৃত ১৫০টি সুপারি গাছ হাসুয়া ও চাইনিজ কুড়াল দ্বারা সমস্ত গাছ কেটে সাবার করেন। এতে করে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা আমার অনুমান ১লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এঘটনার
পরপরই তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমান সেটি বিচারাধীন রয়েছে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আরেকটি ৫৪২দাগের জমির পাশ দিয়ে চলাচলের রাস্তার ধারে নানা ধরনের লাগানো গাছ গত ২৬/৪/২০২৫ইং তারিখে বিকাল ৪ টায় অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া মাস্তান বাহিনী এনে কেটে ফেলার প্রস্তুতি নেয়। এসময় আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত জমির আম, লিচু ও সজিনা জোরপূর্বক পেড়ে নিয়ে যায়। এতে আমার অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। বর্তমান তারা বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন। তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।