বিশেষ প্রতিনিধি:
পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য শেষ সম্বল টুকুও হারাতে হচ্ছে বিদেশ নামক সোনার হরিণ ধরতে। কারও কারও ভাগ্যের চাকা ঘুরলেও নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকেই। প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জে কথিত চিহ্নিত আদম ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী হোসেন ও তার চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন বিদেশগামীরা। সোনার হরিণ ধরতে গিয়ে অনেকেই হারাচ্ছেন সহায় সম্বল৷ নিঃস্ব হয়ে পরিবারের সদস্যরা ভাসছে যেন অথৈ সাগরে।
সম্প্রতিঃ নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া নবীগঞ্জ উপজেলা সদরের হালিতলা গ্রামের সঞ্জব আলীর পুত্র সৈয়দ আলী হোসেন (৩৭) নামের আদম ব্যবসায়ী ও তার চক্র কর্তৃক নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ও বি-বাড়ীয়া জেলার বাসিন্দা সহ অনেকের কাছথেকে সৌদি আরব পাঠানোর নামধরে প্রায় ২০/ ২৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী একই উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্থি পুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ শাহিনূর মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, দু: সম্পর্কের আত্মীয়তার সুবাদে হালিতলা গ্রামের আদম ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয় কয়েক বছর পূর্বে৷ এই সুযোগ আলী হোসেন শাহিনুর মিয়াকে ৪ লক্ষ টাকা চুক্তিতে সৌদি আরব পাঠায়৷ তাকে প্রবাসে পাঠানোর পর শাহিনুরের মাধ্যমে আরো ৩ জনকে সৌদি আরব পাঠানোর চুক্তি করে ২০২৩ ও ২৪ সালে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সুচতুর আলী হোসেন৷ কিন্তু টাকা নিয়েই সে তার রূপ পরিবর্তন করে টাকা গুলো আত্মসাৎ করেন আলী হোসেন৷ এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত ও থানায় একাধিক মামলা দায়েরের ফলে সম্প্রতি সৈয়দ আলী হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ৷ এর পর সে জেল থেকে বের হয়ে একাধিকবার টাকা পরিশোধের তারিখ করেও আজ অবদী হয়রানীর শিকার লোকজনের টাকা গুলো দিচ্ছে না৷ হয়রানী ও প্রতারণার শিকারি বিদেশগামী যাত্রীরা হচ্ছেন, বি-বাড়ীয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়া গাঁও গ্রামের মোঃ মোতাহার মিয়া, নবীগঞ্জের দীঘল বাক ইউনিয়নের কামার গাঁও গ্রামের জিতু মিয়ার পুত্র মোঃ অনু মিয়া, বাহুবল উপজেলার বানাইত গ্রামের মৃত হেকিম উল্লার পুত্র আব্দাল মিয়া সহ আরো অনেক ভুক্তভোগী রয়েছেন৷
তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা৷ এ ছাড়াও সৈয়দ আলীর সাথে এই প্রতিবেদক কথা বললে তিনি বলেন আমি এখনো বিদেশে মানুষ পাটাই উত্তরে তিনি বলেন এখনো অনেক মানুষ ফ্লাইটে আছে। পড়ে নিউজ না করার জন্য এক সাংবাদিক দিয়ে ফোন দেওয়ান।আবার এই প্রতিবেদক ফোন দিলে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার সব কিছু অস্বীকার করেন এবং এ ও বলেন যে তিনি এখন ও দেশের বাইরে মানুষ পাঠাচ্ছেন