কে এম বেলাল
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার স্থাপনা থাকলেও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালটিতে ২৯টি অনুমোদিত পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২ জন চিকিৎসক। ফলে আড়াই লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে পাথরঘাটায়। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও প্যাথলজিক্যাল সুবিধা না থাকায় রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে আউটডোরে রোগীর ভিড় বাড়লেও চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে সংকটের কারণে। একইসঙ্গে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এই সংকট নিরসনে ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের দাবিতে শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি। মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান সাহেদ, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিন সোহেল, যুবনেতা সুমন মোল্লা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সালেহ জসিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক (RMO) ডা. রাখাল বিশ্বাস সহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও হাসপাতালের সাধারণ কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমন জনবহুল একটি উপজেলায় মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে সেবা চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুরূহ। সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে এই সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়ন, প্যাথলজি সেবায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ প্যাথলজিস্ট নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরও জানান, স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার, অথচ এখানে মানুষ তা থেকে বঞ্চিত। অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক নেতাদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার মাধ্যমেই এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।