জেলা প্রতিনিধি, খুলনা:
সূত্রমতে জানা যায় যে, মেট্রোপলিটন কলেজ খুলনা, সোনাডাঙ্গা খুলনা -এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব দিবাকর বাওয়ালীর নিকট ডুমুরিয়া থানাধীন ১.সুরঞ্জন বিশ্বাস, পিতা :মনোহর বিশ্বাস ,ঠিকানা :গ্রাম-জিলেরডাঙ্গা , ডাকঘর -জিলেরডাঙ্গা,থানা- ডুমুরিয়া, খুলনা ,যার ভোটার আইডি নং- ৮২৫০৬৭১৬২৮, মোবাইল নং ০১৯৬২-৭২৫৭৮১, ০১৭৭০-৯১৫৪২৪। ২.হীরামন মন্ডল , পিতা -জিতেন্দ্র মন্ডল, ঠিকানা:গ্রাম- জিলেরডাঙ্গা ,ডাকঘর- জিলেরডাঙ্গা ,থানা- ডুমুরিয়া, খুলনা,যার মোবাইল নং ০১৫৬৬-০৮৬৫৪০,০১৬৩৪-৩২১৪২১,০১৯৭৪-৭০৯৫৫৭,০১৯২৫-৭০৯৫৫৮ এবং কলেজের কতিপয় শিক্ষকদের ইন্ধনে বিগত ইংরেজি ০২/০৬/২০২৫ তারিখ বেলা ১০ ঘটিকার সময় কলেজে ১৫ থেকে ২০ জন উপস্থিত হয়ে নিচ তলায় ডিউটিরত সিকিউরিটি গার্ডের নিকট আমাকে খুঁজতে থাকে। আমাকে না পেয়ে তারা অফিস রুমে ঢুকে কম্পিউটার অপারেটর ও অন্যান্য স্টাফদের ভয় ভীতি দেখাতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমতাবস্থায় তারা অধ্যক্ষ মহোদয়ের বোন নীভা রানীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকা তার ভাই অধ্যক্ষ মহোদয়কে দেয়া লাগবে বলে হুমকি দেয় এবং সেই সাথে সাথে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়। নিভা রানী কলেজের একজন শিক্ষিকা সেই সাথে তিনি একজন মহিলাও বটে। একজন মহিলাকে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে হুমকি দেওয়া মোটেও উচিত নয়। এই হুমকি দাতাদের ইন্ধন জুগিয়েছে কলেজের কতিপয় কিছু শিক্ষক কর্মচারী যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাইফুজ্জামান, ইংরেজি প্রভাষক শামীম, মঈন সহ আরো অনেকে। পরবর্তীতে বেলা ৩.০০ ঘটিকার দিকে তারা পুনরায় অধ্যক্ষ মহোদয়ের ছোটবোন নিভা রানীর কাছে সুরঞ্জন বিশ্বাস ০১৯৬২ ৭২৫৭৮১ নম্বর দিয়ে মোবাইল করে অধ্যক্ষ মহোদয়ের জীবননাশের হুমকি দেয় এবং তার ছোট বোন সহ তার পরিবারের কাউকে ছাড় হবে না মর্মে হুমকি প্রদান করে তার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়া রাতে হীরামন মন্ডল বিভিন্ন নম্বর দিয়ে তার ছোট বোনের কাছে ফোন দিয়ে পুনরায় হুমকি দেয় এবং পরিবারসহ অধ্যক্ষ মহোদয়কে হুমকি প্রদর্শন করে এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের মেয়ের এইসএসসি পরীক্ষা ফাইনাল আগামী ২৬/০৬/২৫ তারিখে পরীক্ষা দিতে আসলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয়। উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে মোস্তাফিজুর রহমান হিরু সহ আমার নিকট হতে নগদ, বিকাশ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকার চাঁদা হিসেবে গ্রহণ করেছে।
তাছাড়া হুমকিদাতারা ঐ একই দিন বেলা ১২.০০ টার দিকে বহু লোকজন নিয়ে কলেজের কয়েকজন বিপদগামী শিক্ষকদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে বেরিয়ে যায়। বিপথগামী শিক্ষকদের মধ্যে ইন্ধন কারী শিক্ষকরা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাইফুজ্জামান ,ইংরেজি প্রভাষক শামীম, মঈন সহ আরো অনেকেই।
তাইফুজ্জামান, শামীম, মঈন-এর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সহ খুলনা জজ কোটে চার এর অধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমার প্রেক্ষিতে তাহা তদন্ত চলমান।
এছাড়াও পূর্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ২১/০২/২০২৪ সনের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে কলেজে আক্রমণ করে এবং কলেজের স্টাফ আকাশ দাস,মনিরুজ্জামান,সাহানুর হোসেন-কে মারধর করে তার সঙ্গে অত্র কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান হিরুকে তারা মারধর করে ।এরা সকলেই আওয়ামী লীগের দোসর এবং পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির( সর্বহারা) সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, জমি দখল, হাইজ্যাক সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন থানায় ও কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ,মারামারি এবং বিভিন্ন খুনের মামলাও রয়েছে ।তাছাড়া ০৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে তারা আওয়ামী লীগের হয়ে দমন পীড়নে লিপ্ত ছিল ।তারা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। ০৫ ই আগস্ট-২০২৪ এর পরে এরা সাময়িক গাঁ ঢাকা দিয়েছিল ।এখন মাঝে মাঝে বের হয়ে পুনরায় চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি,২০২৪ ঐ দিন তাদের সঙ্গে অনেক সন্ত্রাসী যুক্ত ছিল বর্তমানে বিগত ইংরেজি ০২/০৬/২০২৫ তারিখ পুনরায় কলেজে এসে উক্ত টাকা দাবি করে এবং বেলা ০১.০০ ঘটিকার দিকে দলবল নিয়ে বের হয়ে যায়।বিগত ইংরেজি ২৬/০৬/২৫ তারিখ কলেজের কিছু ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক তাদের সাথে একত্রিত হয়ে তাদের সঙ্গে কলেজ বিরোধী কার্যকলাপের সহিত জড়িত ।যেমন জাল সার্টিফিকেট, অবৈধ নিয়োগ সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ করে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করছে। কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় উক্ত বিষয়গুলি সরকারের নিকট উপস্থাপন করার কারণে এবং সত্যতা প্রমাণে চাকুরি জীবনে গ্রহণ কৃত সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার আক্রোশে তারা এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের কলেজে প্রশ্রয় দিয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিবারের উপরে হামলা, মামলা ,হত্যা, গুম করার মতন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বিগত ২৬/০৬/২০২৫ তারিখ কলেজ চলাকালীন সময়ে দুপুর বারোটার দিকে কলেজে উক্ত সন্ত্রাসীদের ডেকে কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান শামীম ,শেখ মঈন উদ্দিন , মোঃ তাইফুজ্জামান এবং মোঃ মইনুল ইসলাম তাইফুজ্জামানের রুমে বসে অধ্যক্ষ মহোদয়কে গুম ও হত্যা করার মতন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা শ্রী শ্রী দেব মন্দিরে আরও সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা করে এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের সোনাডাঙ্গার বাড়িতে হামলা করে এবং তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও রয়েছে । তাদের বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি , হত্যার হুমকি সহ এবং অডিও কল রেকর্ডও সংরক্ষিত রয়েছে।