1. jnsbd24@gmail.com : admin :
তিস্তা ও ব্রক্ষপুত্র শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে নদী পাড়ের মানুষ। - দৈনিক বিকাল বার্তা
১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| বুধবার| রাত ৯:৩২|
শিরোনাম :
বীরগঞ্জে হত্যা চেষ্টার মূল হোতা মনিরুজ্জামান চৌধুরী ধরা ছোঁয়ার বাইরে  এক ফালি আশা বিশ্বম্ভরপুরে প্রশাসনের জব্দকৃত বালু অবৈধভাবে বিক্রয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত দিনাজপুর-৪ আসনের  ইসলামী আন্দোলন দলের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব  মাওলানা  মোঃ আনোয়ার হুসাইন নদভীকে চূড়ান্ত ঘোষণা  সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনের মাধ্যমে শাবিপ্রবিতে ইতিহাস গড়লেন মাদ্রাসার ছাত্র হাবিবুর রহমান মাসরুর। জকিগঞ্জে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত। সাতক্ষীরায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অভিমানী দৃষ্টি  পটুয়াখালী জেলায় গলাচিপায় ভি ডব্লিউ বি চাল বিতরণ কালে দূর্নীতির অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যান সেনাবাহিনীর হাতে আটক।  বছরের শেষে চুড়ান্ত হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

তিস্তা ও ব্রক্ষপুত্র শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে নদী পাড়ের মানুষ।

Reporter Name
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

 

ইমরান সরকার গাইবান্ধা:- তিস্তা ও ব্রক্ষপুত্র নদের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘড় হারানোর আতঙ্কে দিন পার করেছে নদী পাড়ের মানুষজন। ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।

 

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের খোলাবাড়ি এলাকার ননী গোপালের স্ত্রী কনিকা রানী। ৪ ছেলে মেয়েসহ ৫ জনের সংসার। এক সময় সব থাকলেও দফায় দফায় নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে নি:স্ব এখন তার পরিবার। প্রায় ৫ বছর আগে আশ্রয় নিয়েছেন খোলাবড়ি এলাকায় । কিন্তু সেখানেও ৩ দফা ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবারো ভাঙ্গন আতংকে দিন পার করছেন তিনি। নদী চলে এসেছে ঘড়ের কোনায়।

 

কনিকা রানী জানান, নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে নিজের জায়গা না থাকায় ধার দেনা ও সুদের উপর টাকা নিয়ে মাথাগোজার জায়গা টুকু কিনেছেন তিনি। এখন সে জায়গাটিও নদী গর্ভে চলে যেতে বসেছে।

 

কনিকা রানীর মতো এখন একই অবস্থা ওই এলাকার ৩ শতাধিক পরিবারের। অল্প দিনের ব্যবধানে নদী গর্ভে চলে গেছে শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদি জমি।

 

ব্রক্ষপুত্র নদের ফুলছড়ি উপজেলার পূর্ব কঞ্চিপাড়া, কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি, গজারিয়া, সদরের মোল্লারচর, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জের কাপাশিয়া, লালচামার, কারেন্টবাজার, পুটিমাড়িসহ প্রায় ২০টি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। হুমকির মুখে পড়েছে এসব এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ হাজারো বাড়িঘড় ও আবাদি জমিসহ ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ক্রসবাধ সংল্গন্ন দুটি আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার।

 

প্রতিদিন ভাঙ্গছে এসব এলাকার আবাদি জমি ও বসতভিটা। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত এসব এলাকার মানুষ। দ্রæত ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থাসহ স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি নদী পাড়ের এসব মানুষের।

 

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, গেল এক মাসের ব্যবধানে কয়েকশত বিঘা দুই ফশলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গন ঝুকিতে পড়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫ শতাধিক পরিবারের বসত ভিটা।

 

একই উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা গ্রামের রিপন মিয়া জানান, উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় এক মাস থেকে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রæত ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ কয়েক শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে চলে যাবে।

 

ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক জানান,

বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেই সাথে ভাঙ্গন প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্প গ্রহনের উদ্দ্যোগ নেয়া হচ্ছে ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
@ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ ।