মোঃ রিপন শেখ ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কেয়া আক্তার (২০ ) নামক এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল কালাম খানের মেয়ে এবং একই উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী ইসরাফিল (২৫) এর স্ত্রী ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,প্রবাসী ইসরাফিল এক বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন।এর পরে কেয়া আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের ছয় মাস পরে লিবিয়ায় চলে যান। লিবিয়া গিয়ে স্ত্রীকে লিবিয়ার নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে একটি পাসপোর্ট করতে বলেন স্বামী। ভিসা দেরি হওয়ার কারণে স্বামীর সাথে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে তার নিজ শয়ন কক্ষে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।এর পরে রাতের কোন এক সময় আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে কেয়াকে ডাকাডাকি করে। রুমের ভিতর থেকে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে মেয়েকে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে কেয়া কে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামায়।
বিষয়টি ভাংগা থানাকে অবহিত করলে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ কেয়া আক্তার গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই পক্ষের পারিবারিক অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক করে লাশটি নিহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।