1. jnsbd24@gmail.com : admin :
ঈদে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট কমল নগরের মানুষের জনজীবন! - দৈনিক বিকাল বার্তা
১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| রাত ৩:৫৮|

ঈদে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট কমল নগরের মানুষের জনজীবন!

Reporter Name
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ ফয়সাল উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার :

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় গত কয়েক দিন বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিনে ৬-৮ ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের এ অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ গ্রাহকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুকে অনেকেই দিচ্ছেন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। যেকোন সময় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার হুমকি দিচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ।

 

বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরম, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক দিনের কম সময়ও থাকে না বিদ্যুৎ । আর ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেই বিদ্যুৎ গায়েব বিদ্যুতের দেখা মিলেনা ঘন্টার পর ঘন্টা ক্ষেত্রবিশেষে দিনের পর দিন। তবে বিদ্যুৎতের ভেলকি বাজীতে বিল হচ্ছে অতিরিক্ত বা দ্বিগুন এমন অভিযোগ করছে গ্রাহকরা।

 

এদিকে, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে বাসা বাড়ির ফ্রিজ, এয়ারকুলার, কম্পিউটার, পানির মটর, ব্যবসায়ীদের ফটোস্ট্যাট মেশিনসহ বিভিন্ন নামী দামি জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলা জুড়ে ইন্টারনেট সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাওয়া না গেলেও বিদ্যুতের বিল কিন্তু কমছে না।

 

হাজির হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য রেদোয়ান হোসেন বাহার বলেন গত কয়েক মাস কমলনগরে বিদ্যুৎ খুব সমস্যা করে সারা দিনে ৬-৮ ঘন্টা ও বিদ্যুৎ পেতাম না ক্ষুব্ধ হয়ে যুবসমাজ একটি বিক্ষোভ মিছিল করে এর পরেই কয়েকদিন খুব ভালো বিদ্যুৎ পেয়েছি। কিন্তু গত কয়েকদিন মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট আর ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়েছি। এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও সহ যে কোন ধরনের আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।

 

পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন জন্মের পর থেকে দেখছি ঈদেও বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকে কিন্তু এবারের মতো এতো বেশি লোডশেডিং আমি দেখি নাই, বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে আমরা এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।

 

ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ বলেন ব্যাক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে গত কয়েকদিন বিভিন্ন জেলা উপজেলায় গিয়েছি চার দিন হলো দেশের বাড়িতে আসছি তবে এই কমলনগরের মতো এতো বেশি লোডশেডিং দেখি নাই আশা করি দায়িত্বশীলরা এই সমস্যার সমাধান করে কমলনগর বাসীর দূর্ভোগ কমাবে।

 

তবে, চাহিদার চেয়ে অর্ধেক বিদ্যুৎ ও বরাদ্দ পাচ্ছেন না জানান কমলনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম নীতিষ সাহা সেজন্যই মূলত বেশি পরিমাণ লোডশেডিংয় হচ্ছে।

 

অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহকের প্রতিদিন চাহিদা ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থাকলেও পাচ্ছি মাত্র ৪মেগাওয়াট। যদি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান পাওয়া যেত তাহলে বরাদ্দ লোডশেডিংয়ের ঝামেলা অনেকাংশেই কমে যেত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
@ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ ।