মো হানিফ খন্দকার নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদী শিবপুর উপজেলা দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহফুজুল হক মোল্লা শামীমকে অনাস্থা দিয়েছেন ১০ জন ইউপি সদস্য। পরিষদের ১২ সদস্যের মধ্যে দুই জন সদস্য মারা গেছেন। বাকী ১০ জন সদস্যই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত:২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিনের কাছে এবং নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর এই অনাস্থাপত্র জমা দেন। পত্রে উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান পরিষদের বার্ষিক ০৯ টি সভা করতে ব্যর্থ এবং জুন, জুলাই আগষ্ট-২০২৫ সালে পরপর ৩টি সভা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সভা করার জন্য পরিষদের সকল সদস্যরা বললেও চেয়ারম্যান সভা করেননি। যাহা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধারা ৩৪ উপধারা ৪ এর ক ও চ অনুচ্ছেদ লংঘন। তাছাড়া টি.আর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপি,ভূমি হস্তান্তর কর ১% বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কোন প্রকার রেজুলেশন ব্যতীত চেয়ারম্যান একক কর্তৃত্বে নামে বেনামে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। মাতৃত্ব, বয়স্কভাতা, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান একক সিন্ধান্তে টাকার বিনিময়ে উপকারভাগী নির্বাচন করে থাকেন। ওয়ারিশ সনদ ফি আদায় করে চেয়ারম্যান এককভাবে টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উক্ত অভিযোগেসমূহ পর্যালোচনা করে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বার্থে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক মোল্লাকে বরখাস্ত করার জন্য অনাস্থা প্রদান পেশ করেন সদসগণ। ইউপি সদস্য সোলমান, মঙ্গল মিয়া ও নাসির উদ্দীন অনাস্থা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক শামীম মোল্লা বলেন, আমি নিয়ম মোতাবেক পরিষদ চালিয়ে যাচ্ছি। তারা অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অনাস্থা দিয়েছে।
শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান,আমি শুনেছি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, দুলালপুর ইউপি সকল সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থাপত্র দিয়েছে। আমি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি।এছাড়াও গত:২০/১২/২৩ইং দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর শিবপুর উপজেলা দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের টি আর কাবিখা জি,আর ইত্যাদি বরাদ্দ না পাওয়া প্রসঙ্গে ১২ জন ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। অভিযোগ দাখিল করার পরও অদৃশ্য কারণে এর কোন বিহিত হচ্ছে না বলে ইউপি সদস্যরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অভিযোগের পর জেলা প্রশাসক মহোদয় ১০ কর্ম দিবসে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা থাকলেও সময় অতিবাহিত হলেও এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তেমন কোন আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে ও জানান ইউপি সদস্যগণ। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের নিকট ইউপি সদস্যগন ও দুলালপুরবাসী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে শীঘ্রই অপসারণ চায়।